,

সংবাদ প্রকাশের পর এসপির নির্দেশে শহরে ডিবির অভিযান :: আলোচিত পুতুলসহ ৫ জন আটক :: সরঞ্জাম উদ্ধার

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও ফ্লাট বাসা বাড়িতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এ নিয়ে দৈনিক হবিগঞ্জ সময়সহ স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ সুপারের নজরে এলে ডিবির ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযান করার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিবির ওসি মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের বাণিজ্যিক এলাকার ঢাকাইয়া পট্টির সফিক আহমেদের বাসায় অভিযান চালিয়ে বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের মৃত আজমান উল্লার কন্যা ও আলমপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি শওকত আলীর স্ত্রী আলোচিত মক্ষি রাণী পারভীন আক্তার পুতুল (৪০), জামালপুর জেলার পাতালিয়া গ্রামের ফারুক মিয়ার কন্যা কলগার্ল ফাতেমা আক্তার নিশি (২২), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আছকির মিয়ার পুত্র শাহানাজ মিয়া (২৩), বানিয়াচং উপজেলার তেলগড়ি গ্রামের হর কিশোর বৈষ্ণবের পুত্র খদ্দের কৃষ্ণধন বৈষ্ণব (৪০), উত্তর শ্যামলীর আরফান আলীর পুত্র মোজাম্মেল হক (২৭) কে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়।
এ সময় তাদের বাসা তল্লাশী করে বিপুল পরিমাণ কনডম, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও যৌনকাজে ব্যবহৃত সামগ্রী জব্দ করা হয়। পুতুলের আস্তানায় অভিযানের খবর চাওর হলে শহর থেকে গণমাধ্যমকর্মী ও উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখায়। যে কারণে অনেকেই প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এর আগেও রূপালী ম্যানসনের পেছনের এক পুলিশ কর্তার বাসা থেকে ডিবির তৎকালীন ওসি আল আমিনের নেতৃত্বে অভিযান করে পুতুলসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, জালালাবাদ গ্রামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে নির্যাতনের। এ ছাড়াও পুতুল বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামে পিতার বাড়িতে থাকাকালীন সময় গামছা বাহিনী নামের একটি বাহিনী গড়ে তুলায় গ্রামবাসী তার বাড়ি ঘর গুড়িয়ে দিয়ে তাকে বিতাড়িত করেন। পরবর্তীতে সে তার স্বামীর বাড়ি শহরতলীর আলমপুরে এসে আস্তানা গড়ে তুলে। সে ওই গ্রামের শওকত আলীর স্ত্রী। এখানেও নানা অপকর্মের কারণে ঠিকতে না পেরে শহরের নামিদামী ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সে জেলা সদর ছাড়াও ঢাকা থেকে সুন্দরী নারীদের এনে বিত্তশালী লোকদের মনোরঞ্জন করে থাকে। তার এখানে সমাজের নামীদামি লোকসহ সর্বস্তরের লোকের ছিলো অবাধ বিচরণ। অনেক সময় তাকে পুলিশ ধরলেও চাপের মুখে ছেড়ে দিতে হয়। আবার অনেকেই পুতুলকে ধরতে গিয়ে অন্যত্র বদলী হয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর