,

হেযবুত তওহীদ পাবনা কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত :: খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে হবিগঞ্জে মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ২৪ আগষ্ট (বুধবার) রাতে অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহিদের পাবনা কার্যালয়ে আন্দোলনের সদস্যদের উপর আকস্মিক হামলা চালিয়েছে এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী।এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন হেযবুত তওহিদের একজন কর্মী, আহত হন আরো দশ জন। রাত সাড়ে আটটার সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বিকাল ৪ ঘটিকায় মানববন্ধনের আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহিদ । এতে মূল বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি এডভোকেট এম এ মোত্তালিব। আরো বক্তব্য দেন আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সুহেল মিয়া, রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান, লাখাই থানা সভাপতি মোহাম্মদ রাসেল, বাহুবল থানা সভাপতি মোঃ সালাম মিয়া, হবিগঞ্জ সদর থানা সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সদস্য ইয়ামিন প্রমূখ।তারা নেক্কারজনক এ হামলায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান।

পাবনা শহরের চরঘোষপুর ৮নং ওয়ার্ডের ভাটামোড় অবস্থিত কার্যালয়ে জেলা সভাপতি সেলিম শেখ আন্দোলনের ১৫/১৬ জন সদস্যকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন। হঠাৎ করে হেযবুত তওহিদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, খ্রিষ্টানের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও`শ্লোগান দিতে দিতে কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে এক দল সশস্ত্র হামলাকারী। তাদের হাতে ছিল ধারালো চাপাতি, হাঁসুয়া, রামদা, লাঠিসোটা, জিআই পাইপ, লোহার রড়,ইত্যাদি দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র। কোন কথা না বলে তারা বৈঠকে উপস্থিত সবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দশজন সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হন যাদের একজন পরবর্তীতে মারা যান।রাতেই দুজনকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে মোঃ সুজন (৩৩) রাত আড়াইটায় মারা যান এবং গুরুতর আহত আমিনুল ইসলাম (২৭) সেখানে আইসিইউ-তে রয়েছেন,তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আলামিন শেখ (২৭)ও সেলিম শেখ (৪১) সহ অন্য ছয় জন।
হেযবুত তওহিদের পাবনা জেলা কার্যালয়ে প্রবেশকারী হামলাকারীদের সংখ্যা প্রায় ৪০/৫০ জনের মত ছিল।তবে কার্যালয়ের বাইরে ও আরো অনেক সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল।হেযবুত তওহিদের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ পাবনা সদর থানায় ফোন করে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশের টীম পৌঁছাতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুলিশ পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।জেলা সভাপতি সেলিম শেখ বাদি হয়ে চিন্হিত ১৪ জন এবং অঙ্গতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা দায়ের করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর