,

বদলীর পরও বহাল তবিয়তে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে অপকর্ম চালাচ্ছে নজির আলী

জুয়েল চৌধুরী : শায়েস্তাগঞ্জে রেলের বাবুর্চি নজির আলী ও আইডব্লিও সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে চলছে রেলওয়ে জায়গার লিজ বাণিজ্য। শুধু তাই নয়, ফুটপাতে বিভিন্ন দোকান বসিয়েও হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। এসব দুর্নীতির কারণে নজির আলীকে ভৈরব বদলী করা হলেও তিনি রয়ে গেছেন শায়েস্তাগঞ্জে। আর আইডব্লিও সাইফুল্লাহকে নিয়ে করছেন নানা বানিজ্য। সম্প্রতি রেল মন্ত্রনালয় থেকে ঐতিহ্যবাহি শায়েস্তাগঞ্জ জংশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হয়। ওই সময় জংশন এলাকায় সকল দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষের পরে নজির আলী ও সাইফুল্লাহর ছত্রছায়ায় জংশনে বেশ কয়েকটি দোকান বসানো হয়েছে। জংশনের পশ্চিম দিকে বেশ কয়েকটি সরকারি কোয়ার্টার সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে দখল করে রাখা হয়েছে। সেখানে নেয়া হয়েছে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ। এ ছাড়া জংশনে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগসহ বেশ কয়েকটি দোকান ঘর তাদের নেতৃত্বেই বসানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুুক কয়েকজন জানান, মোটা অংকের টাকা দিয়ে রেলের বাবুর্চি নজির আলী ও উর্ধ্বতন সহকারি প্রকৌশলী (পুত) সাইফুল্লাহ তাদেরকে ভাড়া দিয়েছেন। মাস শেষে হাজার হাজার টাকা তারা নিয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সাইফুল্লাহ ও নজির আলী বিভিন্ন ভুয়া লিজ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন এবং কয়েকজন রেলের জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ নজির আলীসহ বেশ কয়েকজনকে হাতেনাতে আটক করে। এরপরই তাদের অপকর্মের কাহিনী বেরিয়ে আসে। তারপর নজির আলীকে আখাউড়া পরে ভৈরবে বদলী করা হয়। কিন্তু সেখানে যোগদান না করে বহাল তবিয়তে শায়েস্তাগঞ্জেই থেকে যান নজির আলী। শশুরবাড়ি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার জগন্নাথপুর হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে লিজ বাণিজ্য করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে রেলের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ জানান, শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে মেরামত কাজ চলছে। সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত জংশনে দোকানপাট বসা নিষেধ কিংবা লিজ দেওয়া যাবে না। যদি এমনটা কেউ করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে নজির আলীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অপকর্মের কারণে নজির আলীকে অনেক আগেই ভৈরবে বদলী করা হয়েছে। তবে শায়েস্তাগঞ্জে কিভাবে তাকে তিনি জানেন না।


     এই বিভাগের আরো খবর