,

২নং পুল খামার বাড়িতে গণ ধর্ষণের ঘটনায় একজন আটক মালিক ও মূলহোতা কাওসার অধরা

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ শহরের ২নং পুল খামার বাড়িতে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি মইনুল ইসলাম (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের পানসী রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার শংকরসেনা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। তবে এ মামলার প্রধান আসামি ডিবি পুলিশের রাইটার কাওসার মিয়া (৩৫) ও খামারের মালিক এখনও রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। সচেতন মহল মনে করেন, সন্দেহভাজন আসামি ধরে কি লাভ? মূলহোতাকে ধরলেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এর আগে গত সোমবার ভোরে হবিগঞ্জ শহরের পোদ্দারবাড়ী এলাকা থেকে হবিগঞ্জ শহরের ২ নম্বর পুল এলাকার মৃত কালু মিয়ার পুত্র রাজা মিয়া (৩০) ও একই এলাকার আবু মিয়ার পুত্র বাচ্চু মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পুলিশ গ্রেপ্তার করে আফজল নামের আরেক আসামিকে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট চুনারুঘাট উপজেলার উসমানপুর এলাকার ঘটক সালামের দ্বিতীয় স্ত্রীকে প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় আফজল মিয়া। তার বাড়ি হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকায়। তিনি হবিগঞ্জ শহরের ২ নম্বর পুল এলাকায় খামার বাড়িতে ওই গৃহবধূকে আটকে রাখেন এবং সেখানে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকাল ৯টায় অসুস্থ অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষিতা নারী জানায়, ২নং পুল খামার বাড়িতে মালিক তাকে ধর্ষণ করে। পরে পুলিশের রাইটার কাওসার। কিন্তু মালিকের নাম না জানায় এজাহারে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করে। অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে রাখা হয়েছে। এর মাঝে ওই খামার বাড়ির মালিককে এনে মামলায় সংযুক্ত করার দাবি জানান।
র‌্যাব ইতিমধ্যে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতার মইনুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

 


     এই বিভাগের আরো খবর