,

মামলাজট কমাতে ডিজিটাল পদ্ধতির উদ্যোগ

সময় ডেস্ক ॥ দেশের বিভিন্ন আদালতে ২৮ লাখের বেশি মামলা নিস্পত্তির জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। এই মামলার জট কমাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে আদালত ডিজিটাল পদ্ধতিতে মামলার বাদী, বিবাদী ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে। বিচারক থেকে শুরু করে আদালতের পুরো কার্যক্রম থাকবে সার্ভারে। যখন তখন প্রয়োজনে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এটা দেখতে পারবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাযায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে সিলেটের ২০টি আদালতে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে বক্তব্য রেকর্ড করা হবে ডিজিটালি। এর ফলে একবার একজন আদালতে তার বক্তব্য দিলে পরে তিনি তার বক্তব্য আর কখনো বদল করতে পারবেন না এবং বিচারক চাইলেই তার প্রয়োজন মতো ওই সময়ের সাক্ষ্যের ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে তা আবার শুনতে পারবেন, বিচার বিবেচনা করতে পারবেন। সূত্র আরো জানায়, মামলার জট কমানো, মামলার কাজ দ্রুত করণ এবং মামলার বিচারিক আদালত বদল হওয়ার পরও যাতে অন্য আদালতে গিয়ে মামলার বিবাদী ও সাক্ষীরা একই মামলায় ভিন্ন সাক্ষ্য দিতে না পারে সেই জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তারা মনে করছেন, এই পদ্ধতি সফলভাবে অনুসরণ করতে পারলে মামলার কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের। এই সংক্রান্ত আদালতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাবে। মামলা চলাকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে বক্তব্য পরিবর্তন করাতে পারবে না বিবাদী পক্ষ। আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এখন মামলার বিচারকাজে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় এনালগ পদ্ধতিতে। এতে অনেক সময় স্বাক্ষীরা ভিন্ন রকমও সাক্ষ্য দিয়ে থাকে। ফলে মামলার কাজেও জটিলতা তৈরি হয়। কিন্তু এখন সেটা বদল করে এমন করা হবে যাতে আদালতে একজন স্বাক্ষ্যদানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই ভিডিওতে ধারণ করা থাকবে। সাক্ষ্য প্রদান করার পর আইনজীবী, সাক্ষী নিজে সেটা দেখতে পারবেন মনিটরে। এরপর তিনি সেই বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন মর্মে নথিতে স্বাক্ষর করে দেবেন। অডিও ও ভিডিও দুটি পদ্ধতিতে তা হতে পারে। এটা চালু হলে মামলায় স্বাক্ষীর পুরো স্বাক্ষ্য একজন বিচারককে লিখতে হবে না। তিনি তার সুবিধামতো নোট নেবেন। প্রয়োজন হলে পরে আবার রেকর্ড দেখেও নিতে পারবেন। প্রথম পর্যায়ে সিলেট জেলায় ৪৪টি আদালতের মধ্যে ২০টি আদালতে এই পদ্ধতি চালু করা হবে। সেখানে এটা সফল হলে দেশের অন্য সকল আদালতে এই পদ্ধতি চালু করার কথাও ভাবা হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই পদ্ধতি সফল করার জন্য এটা চালু করার পর যাতে সমস্যা না হয় সেই জন্য এসংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের টেকনিক্যাল অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অথরিটি ইউএনডিপির সহায়তায় জাস্ট নামে পাইলপ প্রকল্প হিসাবে এটি হাতে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মাসে এটা চালু করার আগের কিছু কাজ এখন সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর