,

নবীগঞ্জে নিখোঁজের ২য় দিনে ডুবায় মিললো লিটনের মরদেহ

নিখোঁজের আগে জুবেল আহমেদ নামে এক যুবকের

সাথে লিটন মিয়ার ধস্তাধস্তি ধরা পড়ে সিসি টিভিতে

জাবেদ তালুকদার : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নে নিখোঁজের ৩ দিন পর ডুবা থেকে লিটন মিয়া (৪৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা বাজারের পোস্ট অফিসের পিছনে ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত লিটন মিয়া ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উল্যাহর পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে লিটন মিয়ার কোন সন্ধান পাচ্ছিলেন না তার স্বজনরা। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরদিন তার পরিবার নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গতকাল শনিবার সকালে দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা বাজারের পোস্ট অফিসের পিছনে ডোবায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
কসবা গ্রামের মৃত শফিউদ্দিনের ছেলে মাখমুদ বখ্ত এ প্রতিনিধিকে বলেন- মাজহারুল এন্ড তনু অটো পার্স ও ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী জুবেল আহমদের ছোট ভাই আমাকে জানান যে, গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি আসলে লিটন ওই পার্সের দোকানে গিয়ে জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করে এবং এক পর্যায়ে তাকে বের করে দেয় কিন্তু ওই দোকানের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে লিটন মিয়ার সাথে ওই দোকানে হাতাহাতি করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে গতকাল শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টা ১০ মিনিটে মাজহারুল এন্ড তনু অটো পার্স ও ইলেকট্রনিক্স দোকানটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানান- গত শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করার পর ওই দোকানের কাউকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।
উত্তর কসবা গ্রামের মৃত ইছাক উল্লার পুত্র মুজিবুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান উত্তর কসবা গ্রামের রবি দাস সম্প্রদায়ের মৃত লালন রবিদাশের স্ত্রী শালতী রবি রানী দাশের দেশীয় মদের আস্থানা হতে নিহত লিটন মিয়া নিয়মিত মদপান করতেন, আমি শালতী রবি রানী দাশের কাছ থেকে এটি জানতে পারি।
শালতী রবি রানী দাশের প্রতিবেশী এক মহিলা জানান- শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় সচেতন মহলকে নিয়ে সাবেক মেম্বার মদের আশ্রয়স্থল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন এবং শালতী রবি রানী দাশ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ডালিম আহমেদ বলেন, নিহত লিটন মিয়ার পরিবার ১৬ সেপ্টেম্বর একটি হারানো ডায়েরি করেছিলেন, শনিবার সকালে লাশ পাওয়া যায়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির করার জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছি। আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর