,

বামৈ শেফা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু :: মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন

স্টাফ রিপোর্টার : লাখাই উপজেলার বামৈ আল শেফা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে এবং মা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে উপজেলায় আতংক বিরাজ করছে। জানা যায়, বামৈ বড় বাজার আল শেফা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মুমতাহিনা আক্তার জেসি চিকিৎসা করে এলাকার সহজ সরল মানুষের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। অনেক রোগীরা কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ না এসে দালালের খপ্পরে পড়ে আল শেফা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ওই ডাক্তারের কাছে যান। তেমনি উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের সফিকুল ইসলামের স্ত্রী লাইজু আক্তার বিয়ের ১২ বছর পর সন্তানের মুখ দেখবেন বলে ওই চিকিৎসকের কাছে যান। গত ২৪ আগষ্ট ওই চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি আল্ট্রাস্নো ও পরীক্ষা করে দেখেন বাচ্চা সঠিক আছে এবং পুত্র সন্তান বলে স্বামী জানায়। ডেলিভারীর সম্ভাব্য তারিখ দেয়া হয় অক্টোবরের মাঝামাঝি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাচ্চার নাড়াচাড়া না পেয়ে পুনরায় ওই চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি আল্ট্রা ও পরীক্ষা করে বলেন, পানি শুন্যতা দেখা দিয়েছে। অক্সিজেন দিতে হবে এবং বেশি করে পানি ও স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বামৈ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অক্সিজেন দেয়া হয়। এরপর বাচ্চা নাড়াছাড়া না করলে পুনরায় ওই চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি তাদেরকে হবিগঞ্জের আপন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের চিকিৎসক পরেশ চন্দ্রের নিকট প্রেরণ করেন। এখানে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আসার পর ওই ডাক্তারকে না পেয়ে চাঁদের হাসিতে আল্ট্রা করালে মৃত দেখতে পান। তখন ওই চাঁদের হাসির ডাক্তার বলেন যথাসময়ে সিজার করালে বাচ্চা ও মা সুস্থ থাকতো। দেরী করাতে বাচ্চা মারা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাইজু আক্তার পেটে মৃত বাচ্চা নিয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। ভর্তির ২৪ ঘন্টা পার হলেও গাইনী ডাক্তার ওই নারীর চিকিৎসা করছেন না। এতে লাইজু আক্তারেও ঝুঁকি রয়েছে বলে অন্য চিকিৎসক জানিয়েছেন। লাইজুর স্বামী জানান, আল শেফা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ডাক্তারের ভুলের কারণে এরকম হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নেবেন। আল শেফা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক সাইফুল ইসলাম ভূইয়া জানান, ডাক্তার জেসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এসে তার সেন্টারে প্রতি বুধবার রোগী দেখেন। যথা সময়েই হবিগঞ্জে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর