,

বাহুবলে ১ যুবতীর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার :: পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা

বাহুবল প্রতিনিধি : বাহুবলে নিজ বসতঘর থেকে এক যুবতীর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করেছে স্বজনরা। কবে পরিবার দাবী করেছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার তগলী গ্রামে।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৫নং লামাতাসী ইউনিয়নের তগলী গ্রামের আব্দুল ছোবান ও মর্তুজ আলীর লোকজনের মধ্যে রাস্তা ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল অনুমান ১০ টার দিকে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে সমুজ আলী নামে একজন আহত হয়, আহত অবস্থায় সমুজ আলীকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। এমতাবস্থায় জুম্মার নামাজে চলে যান মর্তুজ আলী ও তার লোকজন। মর্তুজ আলী নামাজ থেকে বাড়িতে এসে নিজ বসতঘরের বারান্দার তীরের সাথে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় তার মেয়ে সুমি আক্তারকে দেখতে পান। এ সময় মর্তুজ আলী ও তার লোকজন সুমি আক্তারকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাঃ সুমাইয়া খাতুন সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান মর্তুজ আলী ও তার লোকজন। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার এস আই জালাল উদ্দীন একদল পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুমির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য সুমির লাশ হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
সুমি আক্তারের বাবা মর্তুজ আলী এ প্রতিনিধিকে জানান, আমার মেয়ে সুমি আত্মহত্যা করেনি, আমরা জুম্মার নামাজে থাকা অবস্থায় আব্দুল ছোবান ও তার লোকজন মেরে গলায় ওড়না পেছিয়ে বারান্দার তীরে ঝুলিয়ে রাখে দ্রুত পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জালাল আহমেদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে সুমির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বলা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।


     এই বিভাগের আরো খবর