,

মাধবপুরে ধর্মঘর কাঁচা বাজারের বেহাল দশা ॥ জনদুর্ভোগ চরমে

মাধবপুর প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার অন্যতম কাঁচা বাজার “ধর্মঘর কাঁচা বাজার। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে প্রান্তিক কৃষকের এই কাঁচা বাজারের অবস্থা এখন বেহাল। স্থানীয় বাজার কমিটি, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর কোন উদ্যোগ না নেয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতা-বিক্রেতা, পথচারী ও শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাজারটিতে ঢুকতে আগ্রহ হারাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে, বাধ্য হয়েই কাদা মাড়িয়ে উৎপাদিত ফল-ফলাদি, কৃষি পণ্য নিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। এ নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। বাজারটিতে সংস্কার ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ, পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকার কারণে বিভিন্ন স্থানে পূর্বের ইট সোলিং ভেঙ্গে উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। শুকনো মৌসুমেও বাজারে রাস্তায় জমে থাকে কাদা-পানি। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় চলাচলরত কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী, ক্রেতা বিক্রেতাসহ এলাকাবাসীর। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। তবে বিগতদিনে নামমাত্র গর্ত স্থানগুলোতে কিছু বালু মাটি কংক্রিট ফেলে উন্নয়নের নামে বাজার সংস্কার করলেও তদারকির অভাবে এসব উন্নয়ন বৃষ্টির পানি ও কাদার সঙ্গে ধুয়ে ভেসে গেছে পাশের দীঘিতে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার এই ঐতিহ্যবাহী এই ধর্মঘর বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য, ফল-ফলাদী বিক্রয়ের উদ্দ্যোশে বাজারের নিয়ে আসে কিন্তু জমে থাকা কাঁদা, খানাখন্দক উঁচু নিচু ইট সোলিং ভাঙ্গার কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দূর-দূরান্ত হতে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এমন পরিস্থিতিতে বাজারগুলোর সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্মঘর বাজারের মুদি দোকান লাল মিয়া ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী মোঃ সুজন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বাজারে চলাচলের রাস্তা ও ড্রেনেজের ব্যবস্থা না তাকাই সবাইকে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদা পানি একাকার হয়ে চলাচলে মুশকিল হয়ে পড়ে।
ধর্মঘর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফয়সাল আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারের এই করুন অবস্থা। জলাব্ধতা ও কাদা কর্দমা থাকার কারণে মালামাল রাখা, ক্রয়-বিক্রয় কার্য সম্পাদন করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ সময় তিনি আরো জানান বাজার ফান্ড প্রশাসন ইজারা বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও বাজারের উন্নয়নে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
এমন সমস্যার কথা স্বীকার করে বাজার কমিটির সভাপতি নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমেদ পারুল বলেন, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের বরাদ্ধ ও সং্িশ্লষ্ট উন্নয়ন ফান্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে এমন দূর্ভোগ হতে অবসান ঘটবে।


     এই বিভাগের আরো খবর