,

নরমাল ডেলিভারীর কথা বলে টানাহেচড়া করে গর্ভপাত :: মাতৃমঙ্গলে গিয়ে মা ও নবজাতকের অবস্থা গুরুত্বর

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশের অভিযানে পাবলিক দালালরা গা ঢাকা দিলেও এখন প্যারামেটিক ইন্টার্নী ও কিছু নার্স দালালরা এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। রোগীদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠিয়ে কমিশন পেয়ে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব কারণে অনেক দুর দুরান্ত থেকে আসা রোগীরা বিভিন্ন ক্লিনিক এবং মাতৃমঙ্গলে গিয়ে ভুলচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন আবার কেউ কেউ মৃত্যুর সাথে লড়েন। তার পরও তাদের লাগাম টানা যায় না। গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে আজমিরীগঞ্জ এর পাশর্^বর্তী ইটনা থানার প্রতাপ কান্দা গ্রামের শাহাজাহান মিয়ার স্ত্রী কাকলী আক্তার (২০) হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসেন। সেখানে প্যারামেটিক ইন্টার্নী দালাল তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ইদগাঁহ রোডের মাতৃমঙ্গলে পাঠান। সেখানে যাবার পর এক নার্স কিছু টাকা দিলে নরমাল ডেলিভারীর কথা বলেন। গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষ এতে রাজি হয়। ডেলিভারী রোমে নেয়ার পর টানাহেচড়া করে একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট করানো হয়। এরপর থেকেই কাকলীর রক্তপাত শুরু হয়। নার্স ও ডাক্তার কানাঘুষা শুরু করেন। কাকলী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে আসার পর ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখেন জোর করে গর্ভপাত করানোর কারণে ওই নারীর জরায়ূ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই তার রক্তপাত বন্ধ হয়নি। তার সন্তানের অবস্থাও আশংকাজনক। ৩০ মিনিট সদর হাসপাতালে থাকার পর কাকলী রক্তক্ষরণ হতে হতে শরীর সাদা হয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে যাবার পর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন এবং সিসিইউতে অচেতন অবস্থায় রয়েছে। কাকলীর স্বামী শাহাজাহান আক্ষেপ করে জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে দালালের খপ্পরে তার স্ত্রীর অবস্থা এমন হবে তিনি ভাবতে পারেননি। তিনি বলেন, তার স্ত্রী ও সন্তানের কিছু হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর