,

আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাফল্য

সময় ডেস্ক : সম্প্রতি মক্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় প্রশংসায় ভাসছেন বাংলাদেশি হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম। তবে এবার প্রথম নয়। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে প্রতিবছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করে দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন কীর্তিমান হাফেজরা। গত এক দশকে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করা শিক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো।
নাজমুস সাকিব- ২০১৩ সালে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ৭০টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন নাজমুস সাকিব। মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আল সুদাইসের কাছ থেকে তিনি ৮০ হাজার রিয়াল পুরস্কার গ্রহণ করে। এর আগে ২০১২ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় ২৭টি দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিল সে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন- ২০১৩ সালে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৭৩টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। ২০১৬ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালে মিসরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৭০টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে।
তরিকুল ইসলাম- ২০১৭ সালে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ ছাড়া পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিযোগিতা ষষ্ঠ স্থান এবং হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রতিযোগিতায় সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল।
সাইফুর রহমান ত্বকী- ২০১৭ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে জর্দানে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।
ইয়াকুব হোসাইন তাজ- ২০১৭ সালে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল জিম টিভির রিয়েলিটি শোতে অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সীদের কোরআন প্রতিযোগিতায় ২৮টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ইয়াকুব হোসাইন তাজ। এর আগে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৯৬টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন।
আবু রায়হান- ২০১৮ সালে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন জিম টিভির রিয়েলিটি শো-তে অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সীদের কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন আবু রায়হান।
পিছিয়ে নেই মেয়েরাও- ২০১৩ সালে ফারিহা তাসনিম জর্দানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৪৩টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন। রাফিয়া হাসান জিনাত ২০১৬ সালে আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ‘ফাতেমা বিনতে মোবারক’ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮৩টি দেশের মধ্যে নবম স্থান অর্জন করেন। এ ছাড়া সে ২০১৬ সালে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করেন। তাঁরা মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় হিফজের পাঠ গ্রহণ করেছেন।
২০১৭ সালে জর্দানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬৫টি দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করেন আবিদা সুলতানা লিমা। তিনি মারকাজুল হাফেজা ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মহিলা মাদরাসায় হিফজ করেন। ২০০৭ সালে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৯৬টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন সাজেদা খাতুন। তিনি ওয়ারীর সাউদা বিনতে জামআহ রা. আন্তর্জাতিক বালিকা মাদরাসায় হিফজ করেন। ২০১৭ সালে দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ৭০টি দেশে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন হাফেজ খাদিজা বিনতে আহসান মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ।
২০১৮ সালে জর্দানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেন তাফরিহা বিনতে তাবারক। একই মাদরাসার ছাত্রী ওয়াহিদা হাফসা ২০১৯ সালে ১০তম স্থান অধিকার করেন দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায়। তাঁরা ওয়ারীর সাউদা বিনতে জামআহ রা. আন্তর্জাতিক বালিকা মাদরাসায় হিফজ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর