,

নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটি ও ছাত্রদলের মেয়াদ উত্তীর্ন আহবায়ক কমিটি নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা কবে আসবে নতুন কমিটি?

এম.এ আহমদ আজাদ ॥ নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটি ও ছাত্রদলের মেয়াদ উর্ত্তীন আহবায়ক কমিটি দিয়ে কার্যক্রম চলছে কয়েক বছর যাবৎ। ফলে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দুটি দলের ছাত্র সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র হতাশা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলে দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদ উর্ত্তীন আহবায়ক কমিটি দিয়ে দুটি সংগঠনের কার্যক্রম চলছে। কমিটি না হওয়ার কারনে দুটি সংগঠনের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না। ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দখলে রয়েছেন বেশি অছাত্ররা। যাদের ছাত্রত্ব চলে গেছে ১০ বছর আগে এমন ছাত্রদল নেতা আছেন সংগঠনের মধ্যে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহবায়ক কমিটির মেয়াদ ৩ মাস থাকলেও ৩ বছরেও কমিটি হচ্ছে না। ছাত্র সংগঠনের নেতারা হচ্ছেন দলের প্রানশক্তি কিন্তু নতুন কমিটি না হওয়ার কারনে বিপাকে উভয় সংগঠনের নেতারা। ইউনিয়ন পর্যায়ে দুটি ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি হয়নি ৫/৭ বছরের মধ্যে এমন নজির রয়েছে। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অনেক নেতাই এখন বিয়ে সাদি করে সংসারী হয়েছেন তবুও নেতৃত্ব ছাড়েননি। কোন পদদারী নেতার ছাত্রত্ব চলে গেছে ৮/১০ বছর হলেও কমিটির পদবি ছাড়ছেন না। অনেকেই আবার ছাত্র রাজনীতি ছেড়ে ব্যবসা বানিজ্যে মনোনিবেশ করেছেন কিন্তু পদবী ছাড়েননি। বর্তমান ছাত্ররা নতুন কমিটিতে আসতে পারছেন না বুড়োরা তাদের পদ পদবি না ছাড়ার ফলে। বিরোধী দলে বিএনপি আসার পরে ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ৬/৭ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কোন পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি। হয়নি ১৩টি ইউনিয়নের নতুন কোন কমিটি গঠন। এসব কমিটিতে স্থান পাবার জন্য ছাত্র নেতাদের লবিং গ্র“পিং চলছে। আবার অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন কখন কমিটি গঠন হবে এই চিন্তায়। অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির প্রায় ৫ বছর আগে গঠন করা হলেও এখন পূনাঁঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। ছাত্রলীগ নেতা হেভেন হত্যায় অনেক নেতা জড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে এবং ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ফলে এখনও ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। ১৩টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু হলেও ২/১টি ইউনিয়ন বাদে কোন নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। দুটি ছাত্র সংগঠনের আহবায়ক কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হলে অজ্ঞাত হাতের ইশারায় কার্যক্রম চলছে বহাল তবিয়তে। আহবায়ক কমিটির অনেক নেতাই বিয়ে করে ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছে আবার অনেকেই বিদেশ চলে গেছেন অথবা রাজনীতিতে নিস্কৃয় আছেন। নতুন ছাত্র নেতাদের মধ্যে হতাশার কারন হচ্ছে বড় ভাইয়েরা পদ পদবি না ছাড়ার ফলে নতুনরা নেতৃত্বে আসতে পারছেন না। ছাত্র সংগঠনের মধ্যে কোন গতি আসছে না। অনেকে আছেন বড় ভাইদের মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেন না। তবে নতুন কমিটির জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। দুটি দলেরই ছাত্র সংগঠনের পৌর কমিটি নেই। একই সময়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলেও এখন নতুন কমিটি আলোর মূখ দেখেনি। হয়নি কোন ওয়ার্ড কমিটি গঠন। ছাত্রদলে ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা আছেন যুব সংগঠন ও মুল সংগঠনের পদে চলে গেছেন তবুও তাদের ছাত্র রাজনীতি পদ বিলুপ্ত হয়নি। সব মিলিয়ে ঢিমেতালে চলছে ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম গুলো। এব্যাপারে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতাদের পছন্দের কমিটি না আসায় নতুন কমিটি অনুমোদন হচ্ছে না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অচিরেই দুটি সংগঠনের বুড়ো নেতাদের বিদায় দিয়ে নতুন কমিটি কবে আসবে সেই প্রত্যাশা করছেন নতুন নেতৃত্ব আসা ছাত্র নেতারা। নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের কমিটি গঠন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা কবে হবে পূর্নাঙ্গ কমিটি কেউ সঠিক বলতে পারে না। দুটি সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। সচেতন মহলের ধারনা ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি আসলে দলীয় কর্মসূচীতে গতি বৃদ্ধিসহ নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে। আর পদবি দখলকারীদের বিদায় হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর