,

নবীগঞ্জে সৈয়দাবাদ মালিটিলা স. প্রা.বি’র শিক্ষিকা দীলশাহান এর বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া বিদেশ গমন সহ নানান অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দাবাদ মালিটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা দীলশাহান বেগম এর বিরুদ্ধে বিদেশ গমন, অনিয়মিত স্কুলে আসা, প্যারা শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- এনিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর নাহিদুর রহমান, রেজাউল হক, আফিয়া বেগম জয়তুননেছা সহ এলাকার ১৮ জনলোক একটি লিখিত অভিযোগ করেন যে, উপজেলার ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীগাঁও গ্রামের আকদ্দুছ আলীর কন্যা দীলশাহান বেগম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর সহযোগিতায় প্যারা শিক্ষক দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করে আসছেন। ২০১২ইং সালে তাহার বিবাহ হয় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবালা গ্রামে ওমান প্রবাসী একলোকের সাথে। এর পর ২০১৫ইং সালের মাঝামাঝি সময়ে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে/ছুটি না নিয়ে তার স্বামী ওমান প্রবাসীর নিকট চলে যায়। সেখানে প্রায় ৮ মাস বসবাস করে সে অন্তসত্তা হয়ে দেশে ফিরেন। এর কিছুদিন পর পুত্র সন্তান জন্ম দান করেন। তৎকালীন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ বিন হাসান স্কুলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পান যে, সৈয়দাবাদ মালিটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ রয়েছে তখন তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সকোশ করেন। সহকারী শিক্ষিকা দীলশাহান বেগম বিভিন্ন সময়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও কর্মচারীদেরকে হুমকি দামকী দেন এবং তিনি এ বলেন তাহার বোনের জামাই সচিব, তাহার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার ও বিসিএস ক্যাডার হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন। গত ২০২০ইং সালে করোনা মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকার ফলে প্রধান শিক্ষক অনজিৎ রায় এর সহযোগিতায় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বা ছুটি না নিয়ে তার স্বামী ওমান প্রবাসীর কাছে আবারও ছুটে যান। ওই সময়ে প্রায় ১০ মাস সময় অবস্থান করেন তিনি ওমানে। ওমানে তিনি স্বামীর সাথে ব্যবসা করেন ও তাহার আপন বড় ভাই আক্তার হোসেন রুবেল এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা সুদের মাধ্যমে দাদন ব্যবসার সাথেও তিনি জড়িত রয়েছেন। এলাকায় তারা প্রভাবশালী ও অর্থবিত্ত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ওই বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী ও এর প্রতিকার চেয়ে এলকার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন।


     এই বিভাগের আরো খবর