,

নবীগঞ্জে ভাইকে উচ্ছেদ করে ভিটে মাটি দখলের চেষ্টা ৫ মেয়ে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ছন্দলপুর গ্রামের আঃ গফুর ও তার ভাতিজা ফয়জুর রহমান গংদের বিরুদ্ধে তাদের অসুস্থ ভাই ও চাচার জমি জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার চেষ্টাসহ তাদেরকে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে। অব্যাহত হুমকির মুখে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত সোমবার (২৭ স্পেটম্বর) অসুস্থ ভাই ছব্দর আলী স্ত্রী ভূক্তভোগী সাজনা বেগম নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানাযায় তার স্বামী একজন বৃদ্ধ শ্বাস কষ্টের ও হার্টের রোগী। বিবাদী আঃ গফুর আমার দেবর এবং ফয়জুর রহমান, মুহিবুর রহমান ও আজিজুর রহমান আমার ভাসুর পুত্র। তার কোন ছেলে সন্তান নেই ৫ কন্যা সন্তান রয়েছে। বিবাদীগণ তার স্বামীর নামীয় ও ভোগ দখলীয় বাড়ী ঘর জমি জমা গায়ের জোরে ভোগ দখল করার পায়তারা করে আসছে। বিবাদীগণ গত ২ সেপ্টেম্বর বিকালে তাকে ও তার মেয়েদের এবং তার অসুস্থ স্বামীকে মারধর করিবে বলে হুমকীর মুখে আমি নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আর উল্লেখ করেন তার ৫ মেয়ের ভবিষ্যতে কথা চিন্তা করে তার স্বামীর অংশের ভূমি তার নামে লিখে দেওয়ায় পর থেকে ও তার দেবর আঃ গফুর এবং ভাসুর পুত্র ফয়জুর রহমান, মুহিবুর রহমান ও আজিজুর রহমান আমাদের পরিবার সকল সদস্যদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল ও হুমকি ধামকি দেওয়া শুরু করেছে। তাদের ভয়ে সে ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। থানায় অভিযোগের পরও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক নবীগঞ্জ থানাকে প্রতিবেদন ও শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। নোটিশ পাওয়ার পর বিবাদীগণ উত্তেজিত হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর বেলা ২টায় তাদেরকে গালিগালাজ করে তাকে ও তার অসুস্থ স্বামী এবং স্কুল পড়ুয়া ১০ বছরের মেয়ে আছিয়া বেগমকে মারধর করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করান। বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে ৫ কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছে সাজনা বিবি।
এ ব্যাপারে আব্দুর গফুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে সবকিছু অস্বীকার করেন।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমেদ জানান, এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে থানায় একটি অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। অভিযোগটি তদর্ন্ত সাপেক্ষে কোর্টে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমারান শাহারীয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর