,

রয়েই গেলো জগন্নাথপুর আউশকান্দি সড়কের দুই সেতুর দুর্ভোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : ‘সড়কেদি (সড়ক দিয়ে) গাড়ি লইয়া গেলে (নিয়ে গেলে) মনটা ভালা অইযায়, ডাবর থাকি ইনাতগঞ্জ পর্যন্ত কোন জাগাত ভাঙাচোড়া নাই, গাড়ী চালাইতে কি যে আরাম, মনে কয়, বার বার ই-সড়ক বায়দি যেন আইতাম-যাইতাম পারি, কিন্তু দুইটা জাগাত গিয়া মন খারাপ অইযায়, কুশিয়ারা সেতু চালু অইবার পরে যখন ইবায়দি বেশি গাড়ী চলবো, তখন দেখা যাইবো ই-দুইখানো ভাইঙা পড়ছে, জ্যাম লাগছে, যন্ত্রণা থাকিঔ গেছে।’
পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কের দৃষ্টিনন্দন অবস্থার কথা জানিয়ে দুটি বেইলি সেতু’র যন্ত্রণার কথা এভাবেই জানাচ্ছিলেন মাইক্রো চালক রাজন পাল। রাজন পাল প্রায়ই সুনামগঞ্জ থেকে রাজধানী ঢাকায় যাত্রী নিয়ে যান। জানালেন, রাজধানীর সঙ্গে ঢাকার দুরুত্ব এই সড়ক হওয়ায় প্রায় দুইঘণ্টা কমে যাবে। সুনামগঞ্জবাসীর বহুদিনের স্বপ্নপূরণ হয়েছে। কিন্তু সড়কের নারিকেলতলার পাশের কাটাখাল বেইলি সেতু ও বমবমি বাজারের পাশের বমবমি সেতু দুর্ভোগ তৈরি করবে।
জগন্নাথপুরের গণমাধ্যম কর্মী অমিত দেবও বললেন, সড়কের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে গেলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে। মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রীর প্রচেষ্ঠায় প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে কুশিয়ারা সেতুসহ ৮ সেতু ও সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ হয়েছে। এই সড়ক বদলে দেবে সুনামগঞ্জকে। তবে সড়কে দুটি বেইলি সেতু থাকায় ভোগান্তি রয়েই গেলো। গেল বন্যার পরে কাটাখাল সেতু দুইবার ধসে পড়েছে। জোড়াতালি দিয়ে সেতুটি রক্ষা করা হচ্ছে। বমবমি সেতুর অবস্থাও এরকমই। যানবাহন চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করে দুটি সেতুই নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কের শুরু সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ডাবর পয়েন্ট থেকে। ওখান থেকে ৪৬ কিলোমিটার গেলেই ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের সৈয়দপুর। ওখানে গিয়ে এই সড়ক যুক্ত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ৩৪ কিলোমিটার অংশ সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগের। ইনাতগঞ্জ থেকে অন্য ১২ কিলোমিটার হবিগঞ্জ অংশের। সুনামগঞ্জ অংশের সড়কের এই দুই সেতু ছাড়া অন্য কাজ আঞ্চলিক মহাসড়কের মতোই হয়েছে। জগন্নাথপুরের কাটাখাল এলাকায় ১৩০ মিটার বেইলি সেতুতে একটি গাড়ি ওঠলে, আর কোন যানবাহন এমনকি একজন পথচারীও পাড়াপাড় হবার নয়। বমবমির ৭৯ মিটার বেইলি সেতু’র ও একই অবস্থা।


     এই বিভাগের আরো খবর