,

নবীগঞ্জে ভূমি জালিয়াতির মামলা :: পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার বাদী ও বিবাদী নিয়েকে দুম্ম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি সম্পাদনের অভিযোগে হাইতুন্দি গ্রামের ব্যবসায়ি ছায়েদ মিয়া ও ডিড রাইটার রুকুম আলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দেবপাড়া ইউপির বৈঠাখাল গ্রামের মৃত- হচরত আলীর পুত্র আবদুল জলিল। মামলায় প্রধান আসামি ছায়েদ মিয়ার অভিযোগ ডিড রাইটার আব্দুল মুহিতের মাধ্যমে তাকে ক্রয়কৃত ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করে দিয়ে উল্টো মামলা করেন জলিল মিয়া। অনৈতিক দাবির টাকা না দেয়ায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কথিত রেকর্ড ছাড়া মালিকানা সংক্রান্ত দলিল না থাকায় প্রতারণার আশ্রয় নেন জলিল মিয়া। এনিয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিণ হোসেনপুর মৌজার খতিয়ান নং ১৮০ এস এ দাগ নং ৮৯৮ এর ২৭ শতক ভূমি গত বছরের ১৭ নভেম্বর রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হয়। জলিল মিয়ার নিকট থেকে রেজিষ্ট্রি করেন ছায়েদ মিয়া। এতে ভোটার আইডি, দলিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে থানায় মামলা হয়। মামলায় ক্যান্সার আক্রান্ত সামছু মিয়াকেও আসামি করা হয়। এনিয়ে ডিড রাইটার রুকুম আলী চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তার উস্তাদ ডিড রাইটার আব্দুল মুহিত মিয়া কথিত বিক্রেতা জলিল মিয়ার নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে দলিল সম্পাদন করেন। কৌশলে নবীন ডিড রাইটার হিসেবে রুকুম আলীর স্বাক্ষর নেন। ভূয়া দলিল এবং ডকুমেন্টস তৈরি করেন। প্রকৃত অর্থে রেকর্ড মালিকানা দাবিদার জলিল মিয়ার মালিকানা সংক্রান্ত দলিল নেই। রেকর্ড মালিকানা বিক্রয় করতে গিয়ে তিনি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জালিয়াতির নেপথ্যে থাকা ডিড রাইটার আব্দুল মুহিত মিয়া বলেন, রুকুম আলীর বসার কোন টেবিল না থাকায় আমার পাশে বসে কাজ কর্ম করে। নিজের জালিয়াতি আড়াল করতে গিয়ে অহেতুক আমাকে অভিযুক্ত করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাইদ বলেন, জালিয়াতির প্রাথমিক তথ্য সনাক্ত হয়েছে। অধিকতর তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে।
মামলার বাদী জলিল মিয়া সহোদর দেবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম কালাম বলেন, প্রত্যেকটি জালিয়াতির ঘটনাই চাঞ্চল্যকর।


     এই বিভাগের আরো খবর