,

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সিলেট অঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

সময় ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তাই ওইসব এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল সোমবার এমন পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবোর বন্যা- পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা বুধবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই সময়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া এর প্রভাবে এই সময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের মুহুরী, গোমতী ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মনু, খোয়াই, সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সময় বিশেষে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় সব জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এই প্রভাব বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাসমূহে অধিক হতে পারে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে আজ মঙ্গলবার ও বুধবার দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশের ১০৯টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে পানি সমতল বেড়েছে ২১টিতে, কমেছে ৮৬টিতে, অপরিবর্তিত আছে ২টি পয়েন্টে।


     এই বিভাগের আরো খবর