,

আজমিরীগঞ্জে তিন বছরেও সংস্কার হয়নি সদর ডাকঘরের সীমানা প্রাচীর

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি : ভবনের সামনে রাখা সারি সারি মোটরসাইকেল, রয়েছে ব্যাটারীচালিত ইজিবাইকও। হঠাৎ করে যে কেউ দেখলে ভাবতেই পারেন হয়তো ডাকঘরে আসা সেবাগ্রহীতারা ওই যানবাহনগুলো রেখে ভেতরে গেছেন কোনো সেবা নিতে কিন্তু আসলে তা নয়। প্রায় তিন বছর আগে প্রবল বৃষ্টির পানির তোড়ে সীমানা প্রাচীরটি ধ্বসে পড়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের সদর ডাকঘরের। র্দীঘ তিন বছর অতিবাহিত হলেও সংস্কার না হওয়া এভাবেই অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে উপজেলার ডাকঘরটি। শুধু সাইকেল, ইজিবাইক পার্কিং নয় সন্ধ্যার পর বিভিন্ন রকম মানুষের আড্ডা বসে ডাকঘরটির মূল ভবনের সিঁড়িতে। সরকারি ডাকঘরটি দীর্ঘদিন ধরে এমন অরক্ষিত অবস্থায় থাকলেও কোনো রকমের ভ্রুক্ষেপই নেই কর্তৃপক্ষের। যদিও পোস্ট মাস্টারের দাবি, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে অনেক আগেই।
সরজমিনে রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায় মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ডাকঘরটির মুল ভবনের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিনা কারণেও যে কেউ প্রবেশ করছেন ডাকঘরের সীমানায়।
স্থানীয়রা জানান- প্রায় তিন বছর আগে বৃষ্টির পানির তোড়ে মূল ভবনের সামনের সীমানা প্রাচীরটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকেই এমন অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে এটি। স্থানীয় বাসিন্দা এবায়দুর রহমান জানান দীর্ঘদিন ধরে সীমানা প্রাচীরটি না থাকায় দিনের বেলায় বিভিন্ন বাহনের পার্কিং জোন আবার রাতে বিভিন্ন হকাররা পোস্ট অফিসের মূল ভবনের সামনেই দোকানের পসরা সাজায়। একটি সরকারি পোস্ট অফিসে বিভিন্ন রকমের নথিপত্র ছাড়াও বিভিন্ন রকমের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকতে পারে। এমন অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় তিনবছর ধরে পোস্ট অফিসটি অরক্ষিত রয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার শাহ নুর মিয়া বলেন, আমরা বিষয়টি র্উধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। উনারা কিছুদিন আগে পরির্দশন করেছেন। জেলা পোস্ট অফিস পরিদর্শক সুর্য লাল দাস জানান- আমরা আজমিরীগঞ্জ সহ জেলার যে কয়টি ডাকঘর সংস্কার প্রয়োজন তার বাজেটের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। বাজেট আসলে আমরা মেরামতের কাজ শুরু করতে পারবো।
এ বিষয়ে জেলা সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল মুহাম্মদ মুজিবর রহমান জানান, চলতি মাসে আমি সরজমিনে আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং পরিদর্শন করে এসেছি। পোষ্ট মাস্টারকে বলে এসেছি মিস্ত্রীর সাথে কথা বলে কত টাকা লাগে আমাদের জানাতে,কারণ ছোটখাটো মেরামত হলে আমরা করতে পারি। কিন্তু যদি বেশী টাকার প্রয়োজন হয় তবে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শীঘ্রই জেলার সবকটি ডাকঘর সংস্কার করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর