,

নবীগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর প্রানেশ দেবের বিরুদ্ধে আখড়ার জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলে নেওয়ার অভিযোগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত সোমবার ২৪ অক্টোবর দৈনিক হবিগঞ্জ জনতার এক্সপ্রেস, দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার, দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার ১ম পৃষ্টায় নবীগঞ্জে সাবেক পৌর কাউন্সিলর প্রানেশ চন্দ্র দেবের বিরুদ্ধে আখড়ার জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলে নেওয়ার অভিযোগ ॥ আদালতে মামলা শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর ও কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন বটে। সমাজে আমার মান সম্মান নষ্ট ও আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার হীন উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রি মহলের প্ররোচনায় পড়ে সাংবাদিকদের দিয়ে মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- এস.এ রেকডের মালিক নিমাই চান মোহন্ত, পিতা- কাম দেব মোহন্ত, নিমাই চান মোহন্ত ও চৈতন্য চরণ মোহন্ত তাহার পিতৃ সম্পত্তি বিক্রয় করে নিজ নামে জায়গা খরিদ করে তিনি এস.এ রেকডে মালিক হন। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় চৈতন্য চরণ মোহন্তকে পোষ্য পুত্র হিসেবে গ্রহন করেন। নিমাই চান মোহন্ত পরলোক গমন করার পর চৈতন্য চরণ মোহন্ত উক্ত গোবিন্দ্র জিউড় আখড়ার সেবাইত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং চৈতন্য চরণ মোহন্ত নিমাই চান মোহন্তের পোষ্য পুত্র ওয়ারিশ হিসেবে কানাইপুর গ্রামের শ্রী পটল পালের নিকট মালিকা জায়গা বিক্রয় করেন। নিমাই চান মোহন্তের পোষ্য পুত্র ওয়ারিশ হিসেবে উক্ত জায়গা আর.এস রেকর্ড করে চৈতন্য চরণ মোহন্ত নবীগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রার অফিস ৩৪৮৭, ৩৪৮৯, ২৫৪৪ ও ৩৪৯০নং দলিল সহ মোট ৪টি দলিলের মাধ্যমে (১) সুধিন দাশ, (২) অঞ্জলী দাশ, (৩) জগদীশ দাশ, (৪) রসমনি দাশ (৫) কালিপদ দাশ গনের নিকট উক্ত খতিয়ানের আরো জায়গা বিক্রয় করেন। অত্র দলিল সম্পাদনে দলিল লিখক হচ্ছেন কেলিকানাইপুর গ্রামের ও ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর যুবরাজ ঘোপ। চৈতন্য চরণ মোহন্ত একমাত্র পোষ্য পুত্র হিসেবে হরিদাশ মোহন্তকে রেখে পরলোক গমন করেন। চৈতন্য চরণ মোহন্তে একমাত্র পোষ্য পুত্র হিসেবে হরিদাশ মোহন্ত ওয়ারিশ হিসেবে তাহার নিকট থেকে আমি আইন মোতাবেক খরিদ করি এবং আমার দখলীয় বটে। অদ্যবধি পর্যন্ত আমি খাজনা পরিশোধ করেছি। উক্ত ভূমি কোন সময়েও গোবিন্দ্র জিউড় আখড়ার নামে ছিল না। গোবিন্দ্র জিউড় আখড়ার নামে অন্যান্য খতিয়ানে অন্যান্য দাগে ফরচা রয়েছে। উক্ত সম্পত্তি চৈতন্য চরণ মোহন্ত ও হরিদাশ মোহন্তের ব্যক্তি মালিকানা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। গত সোমবার ২৪ অক্টোবর আমার বিরুদ্ধে সুবল দেব, সমীরন দাশ ও নিতেশ দাশ আদালতে যে স্বত্ব মামলা করেছেন তা আদালত কর্তৃক নিস্পত্তি/বিচার না হওয়া পর্যন্ত পত্রিকায় জালিয়াতি শব্দ ব্যবহার করায় আমার মান সম্মান নষ্ট হয়েছে এবং সামাজিকভাবে আমি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। সে জন্য আমার আত্ম-সম্মান রক্ষার্থে অর্থ মানহানিকর মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। উল্লেখিত ২ ব্যক্তির সাথে আমার জায়গা সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন বিষয়ে ঝামেলা চলে আসছে। বিগত ১৮/২০ বছর পূর্বে নিতেশ দাশের পিতা-মৃতঃ নিতাই দাশ আমাদের গ্রামে দেশি মদ বিক্রয় করিত। ওই সময়ে এলাকার লোকজন আমার নিকট আসিলে আমরা সবাই মিলে তাকে নবীগঞ্জ থানায় সোর্পদ করি। ওই সমস্ত বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় নিতেশ দাশ গং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। আমি ওই সমস্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

প্রতিবাদকারী
প্রানেশ চন্দ্র দেব
সাবেক কাউন্সিলর ৪নং ওয়ার্ড
নবীগঞ্জ পৌরসভা, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর