,

নবীগঞ্জে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মহিলা মেম্বারকে ধর্ষনের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টাবর দৈনিক জনতার এক্সপ্রেস পত্রিকার ১ম পৃষ্টায় নবীগঞ্জে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মহিলা মেম্বারকে ধর্ষনের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে। সংবাদে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, কাল্পনিক, উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ও হাস্যখর বটে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- সমাজে আমার মান সম্মান নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে আমার ইউনিয়নের একটি কুচক্রি মহলের কিছু লোক ইউপি মহিলা মেম্বার মমতা বেগমকে দিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত আমার বিরুদ্ধে গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন ধরণের অপ-প্রচার চালাচ্ছে এবং আমাকে কিভাবে ফাঁসানো যায় সেই মোতাবেক ফন্দি করে আসছে। বিগত অনুমান ৩০/৪০ দিন পূর্বে রাত ১ ঘটিকার পরপর আমার মোবাইলে কয়েকটি ফোন আসে। আমার মোবাইলটি সাইলেন্ড থাকায় ফোন ধরতে পারি নাই। পরবর্তীতে সকাল অনুমান ৭ ঘটিকার সময় ফোন ব্যাক করে জানতে পারি যে আমি নাকি ইউপি মহিলা মেম্বার মমতাকে নিয়ে কোন এক অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে গেছি। ওই দিন আমি নবীগঞ্জ শহরে ছিলাম। পরে তাৎক্ষনিকভাবে মমতা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে বলে আমি আমার স্বামীকে নিয়ে নিজ ঘরে শুয়ে আছি। ওই বিষয় গুলি শোনায় মমতা ও তার স্বামী আফির উদ্দিন ক্যাপে গিয়ে এলাকার স্থানীয় ফার্ম বাজার মস্তান মিয়ার পার্সের দোকানের সামনে গিয়ে জড়ো হওয়া লোকজনের সামনে তীব্র ভাবে এর প্রতিবাদ জানায়। আমি প্রথমে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মেহের আলী মালদার সাহেবকে ফোন দিয়ে অবগত করি যে আপনার ভাতিজা টুনু মিয়া আমাদের ফার্ম বাজারে আমাকে ও মমতাকে জড়িয়ে একটি বিভ্রান্ত মূলক আলোচনা সমালোচনা করছে। ওই বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে দেখার জন্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মেহের আলী মালদার সাহেবকে আমি অনুরোধ করি। ওই সময়ে মেহের আলী সাব আমাকে ওই বিষয় নিয়ে আর প্রচার বা কোথায় না বলার জন্য অনুরোধ করেন এবং বলেন আমার ভাতিজাকে ওইগুলি নিয়ে আর যেন সমালোচনা না করে বলবো। এর পর হইতে ইউপি মহিলা মেম্বার মমতা ও তার সাথে থাকা কিছু কুচক্রি মহলের লোকজন আমাকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন ফন্দি করে আসছে।
মমতা বেগমের ঘটনাটি যে সাজানো নাটক তার প্রমান তার স্বামী আফির উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে জানান- জুয়েল মেম্বার একজন সম্মানি মানুষ তাকে আমি জানি এবং চিনি। মমতাকে নিয়ে আমার এলাকার একটি কুচক্রি মহল জুয়েল মেম্বারের মান সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়েছে যার ফাদে মমতা পা দিয়েছে। আমার স্ত্রী মমতা মেম্বার ভালো নয়। আমিই তার প্রমান। সে প্রতিদিন নবীগঞ্জে কি প্রয়োজনে যায়, আমি ফোন দিলে আমার সাথে কথা বলতে রাজি নয়। সারাদিন বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে। মমতা খারাপ প্রকৃতির লোক। সে আমার নিয়ন্ত্রনও মানে না, আমার অবাধ্য, আমার সাথে বেঈমানী করে যাচ্ছে। আমি তার বিভিন্ন অপকর্মের বিচার চাই।
জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি দাবী জানাই যাতে করে ওই ঘটনাটি সর্ম্পকে সঠিক তথ্য উদঘাটিত হয়।
পাঠক ও সচেতন সমাজের লোকজনের নিকট আমার দাবী ঘটনাটি সর্ম্পকে সঠিক তথ্য না জেনে এলাকায় বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়। ওই বিষয়টি নজরে দেওয়ার আহবান জানাই। তাই আমি মিথ্যা মানহানিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

প্রতিবাদকারী
মোঃ জুয়েল মিয়া
মেম্বার ৩নং ওয়ার্ড,
২নং বড়ভাকৈর (পূর্ব) ইউপি, নবীগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর