,

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ড :: অল্পের জন্য রক্ষা

পিডিবির বিরুদ্ধে ফোন রিসিভ না করার অভিযো

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের স্ক্যানুতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে অল্পের জন্য প্রায় অর্ধশতাধিক নবজাতক নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে পিডিবির জরুরি বিভাগের কেউ ফোন রিসিভ না করায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আতংকে দ্বিকবিদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে হাসপাতালের স্টাফসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় স্ক্যানু (নবজাতক) ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাৎ বিদ্যুতের মেইন সুইচ ও মিটার থেকে স্ক্যানু ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভয়ে নার্স ও নবজাতকের অভিভাবকরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। হাসপাতাল থেকে বারবার পিডিবির জরুরি বিভাগে ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেনি। এমনকি বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকেও ফোন দিলে কেউ রিসিভ করেনি। ঘণ্টাখানেক পরে পিডিবির কর্মচারীরা হাসপাতালে আসেন। তবে এর আগেই দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। স্থানীয়রা জানান, সময় মতো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না এলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষি হতো হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। এদিকে স্ক্যানু ওয়ার্ডে সার্বক্ষনিক বিদ্যুত থাকার কথা থাকলেও বিদ্যুত না থাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে নবজাতক নিয়ে এলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রিসিভ না করে তাদেরকে সিলেট বা ঢাকা রেফার্ড করেন। এতে রোগীর স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যেখানে হবিগঞ্জেই চিকিৎসা হয়, সেখানে অন্যত্র চলে যাওয়া ব্যয় সাপেক্ষ এবং ভোগান্তির। রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখাকালে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিদ্যুত চালু হলেও স্ক্যানু ওয়ার্ডের বিদ্যুত স্বাভাবিক হয়নি। পিডিবির জরুরি বিভাগ ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননা বলে অনেক গ্রাহক ও দপ্তরের কর্মকর্তাদের অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্ববাধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার বলেন, স্ক্যানুতে বিদ্যুত না থাকায় নবজাতক রিসিভ করা হয়নি। চালু হলে অবশ্যই রিসিভ করা হবে। এ ছাড়া বিদ্যুত অফিসে বারবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনি। হবিগঞ্জ দমকল বাহিনীর সহকারী পরিচালক জানান, ফোন পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। নতুবা বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতো।
এ বিষয়ে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জরুরি বিভাগের কেউ কেন ফোন ধরেনি জিজ্ঞাসা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বিষয়টি আমার জানা ছিলো না।


     এই বিভাগের আরো খবর