,

কুর্শিতে রাস্তায় ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদ করায় একই পরিবারের ৪ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের পঞ্চায়েতী সড়ক (ইটসলিং) রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির দিনে ভারী যানবাহন ট্রাক দিয়ে সড়কের ক্ষতি সাধন করেন খালেদ ও তার লোকজন নামের ব্যক্তিরা। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে একই গ্রামের দিন মজুর শ্রমিক অটোরিক্সা চালক সাগর মিয়াসহ ৪ জনের উপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। আহতরা হলেন, মোঃ রোহেল মিয়া (৪৭) তার ছেলে সাগর মিয়া (২৫), আল আমীন (২২) ও মৃত নূর উল্লার স্ত্রী নেওয়ারুন বিবি (৬০), তাদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগর মিয়াসহ ৩ জনকে সিলেট এম ও জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে প্রায় সপ্তাহখানেক চিকিৎসা নিযে বাড়ীতে আসেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৩ অক্টোবর এ ঘটনায় সামাজিক বিচারকেরা মধ্যস্ততায় সালিশি চলাকালীন সময়ে সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত অমান্য করে আবারো পূণরায় সাগর মিয়াকে রাস্তায় পথরোধ করে আবারো খালেদের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্রদিযে কুপিয়ে মাথায় ও শরীরে রক্তাক্ত জখম করে লিটন মিয়া নামের ব্যক্তি সহ তাদের পক্ষের লোকজন। এসময় সাগর মিয়াকে বাঁচাতে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তার ঘরবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সাগরের দাদী নেওযারুন বেগমসহ অন্যান্যদের গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা। এ হামলার ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলে ১নং আসামী লিটন মিয়া পলাতক থেকে অন্যান্যরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে আবারো হামলা ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে আবারো থানায় জিডি নং ৩৪, তারিখ ১/১১/২০২২ দায়ের করেন। এঘটনার পরপরই হামলাকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠলে সাগর মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন গ্রামের রাস্তাঘাটে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আবারো পূণরায় হামলার চেষ্টা করিলে বিজ্ঞ আদালতে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে আরেকটি মামলা দাযের করেন সাগর মিয়ার চাচা রায়েল মিয়া। এতেও ক্ষান্ত হয়নি দাঙ্গাবাজরা উল্লেখ্য- কুর্শি গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই, সে এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সাথেও জড়িত রযেছে মর্মে তার জন্মদাতা পিতার জীবদ্দশায় বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক হবিগঞ্জ এর কার্যালয়ে একটি হলফ নামায় তিনি অঙ্গীকার করে বলে গেছেন। এভিডেভিট নং ৮৭০, তারিখ ২/১২/২০১০ইং এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নির্যাতন ও হয়রানীর শিকার পরিবারের লোকজন।


     এই বিভাগের আরো খবর