,

অবশেষে শায়েস্তাগঞ্জের পকেটমার সর্দার ফারুক র‌্যাবের হাতে আটক

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি : অবশেষে শায়েস্তাগঞ্জের পকেটমারের সর্দার ফারুক ও তার এক সহযোগিকে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ র‌্যাব-৯ এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে দাউদনগর তার বাসা থেকে তাকে আটক করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী একই এলাকার আরেকজনকে আটক করা হয়। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ফারুক ও তার সহযোগিরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তার দামি মোবাইল ফোন চুরি করেছে। এ তথ্য অনুযায়ী ফারুক মিয়া (৪৫) কে আটক করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত আছাব আলীর পুত্র। তবে র‌্যাব আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য না জানালেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বিশ^স্থ সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর এলাকার বাসিন্দা ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে পকেটমার চক্রের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এ চক্রটি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক, শপিং মল, কোর্ট প্রাঙ্গণে অবাধে বিচরন করে। তাদের সঙ্গে ৪/৫ জন লোক থাকে। কোনো লোক ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আসা মাত্র কৌশলে নিয়ে যায়। আবার ধরা পড়লে তাদের সাথে থাকা লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নেয়। ফারুক ও তার সহযোগিরা ইতোমধ্যে পুলিশের হাতে আটক হলেও আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় এসব ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তাদের হাত থেকে ব্যবসায়ী, প্রবাসী এমনকি বিচারপ্রার্থীরাও ছাড় পাচ্ছে না। প্রতিদিনই তারা শহর থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর আগে শহরের সবজুবাগ এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ফারুককে কৌশলে সবুজবাগ এনে আটক করে। এ সময় সে নিজ মুখে স্বীকার করে ৮ হাজার ৫৭০ টাকা নিয়েছে এবং শায়েস্তাগঞ্জে দাউদনগর এলাকার বটগাছ তলার ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের মাধ্যমে বিকাশে টাকা এনে টাকার মালিক আসাদুল নামে এক ব্যক্তিকে দেয়। তবে আসাদুলের দাবি ছিলো সে ১০ হাজার টাকা চুরি করেছে। কিন্তু ফারুক স্বীকার করে যা ৪ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে এসময় ফারুককে ব্যবসায়ীরা উত্তম মধ্যমও দেন। পরে সে ভবিষ্যতে এমন করবে না মর্মে অঙ্গীকার করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া সে জানায়, চুরি এবং প্রতারণার টাকা আমি একা নেই না। হবিগঞ্জে সিন্ডিকেট আছে। তাদেরকেও ভাগ দিতে হয়। বেশিরভাগ সে নিয়েই থাকে।


     এই বিভাগের আরো খবর