,

মিষ্টি খাওয়াই কাল হলো মা-মেয়ের :: হবিগঞ্জে অচেতন করে মা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের সুকড়িপাড়া গ্রামে মিষ্টির সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে মা ও কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় ওই পরিবারকে ২শ টাকা দিয়ে কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়েছে ওই লম্পট। অসুস্থ অবস্থায় ১৪ বছরের কিশোরী কন্যাকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই কিশোরী জানায়, তার মাকেও নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করার ফলে বাড়িতে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই কিশোরী ও তার পিতা রুহুল আমিন জানান, তারা নোয়াখালীর পশুরহাটের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে ২শ শতক জায়গা কিনে বসবাস করে আসছেন। রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী রহিমা আক্তার ভিক্ষা করে জীবন যাপন করছেন। তার কিশোরী কন্যার ওপর কুনজর পড়ে একই গ্রামের আকবর আলীর পুত্র লম্পট জসিম (৩০) এর। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে তাদের বাড়িতে এসে রুহুল আমিন, তার স্ত্রী রহিমা ও কিশোরী কন্যাকে মিষ্টি খেতে দেয় জসিম। মিষ্টি খাওয়ার পর তারা কিছু বলতে পারে না। সকালে উঠে ওই কিশোরী দেখে তার পরণের কাপড়ছোপড় খোলা এবং তার মাও বিবস্ত্র অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু জসিম নেই। বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরের দিকে জসিম ওই কিশোরীকে ২শ টাকা দেয় গোপন রাখতে এবং চিকিৎসা করাতে। যদি বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে তবে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিকালের দিকে তার মার জ্ঞান ফিরে না এলে বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা ওই কিশোরীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত ৯টায় রিপোর্ট লেখাকালে তার মাকেও হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রস্ততি চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফোজা আক্তার শিমুল জানান, বিষয়টি জেনেছি, খোঁজ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সদর ওসি (তদন্ত) বদিউজ্জামান জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর