,

দেশের মানুষ যদি না খেয়ে থাকে তাহলে রিজার্ভ থেকে কী হবে :: জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেকে রিজার্ভ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু অপপ্রচার চালানোর কী আছে। রিজার্ভ আমরা দেশের মানুষের জন্য খরচ করেছি। আমার দেশের মানুষ যদি না খেয়ে থাকে তাহলে আমার রিজার্ভ থেকে কী হবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (বিআইসিসি) জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত ৫৯ জন চেয়ারম্যানকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তারা ভোগ দখলের জন্য নির্বাচিত হননি। বরং জনগণের সেবা করার জন্য আপনারা নির্বাচিত হয়েছে। সুতরাং আপনারা যদি চান নিজেরা ভোগ দখল করবেন তাহলে করে একবারেই বিদায় নিতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু তাকে সেটা করতে দেয়া হয়নি। যদি সেটা করতে পারতেন তাহলে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া নয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে স্থান করে নিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমি আর রেহানা বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। রিফিউজি হিসেবে থাকি। দেশে আসতে পারিনি। কারণ মোস্তাক প্রথমে অবৈধভাবে ক্ষমতা নেয়। শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক আইন জারি করে একাধারে সেনাপ্রধান, অপরদিকে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে। খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়, যাতে তাদের বিচার না হয়। তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কার দেয়া হয়। বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু হয়। আর আমরা যাতে দেশে আসতে না পারি সেই নির্দেশ দেয়। এমনকি রেহানার পাসপোর্টটও রিনিউ করে দেয়নি জিয়াউর রহমান। নিষেধ করে দিয়েছিল। ৬ বছর বিদেশে ছিলাম। পরে একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশে ফিরে আসি।
এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। তাদের সবাইকে মুক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসায় জিয়াউর রহমান। বিএনপির গঠনতন্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চেয়ারম্যান করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর তফসিল ঘোষিত ৬১টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৫৭টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোলা ও ফেনী জেলার সব কয়টি পদে একক প্রার্থী থাকায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। এ ছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলার ভোট স্থগিত হয়।

 


     এই বিভাগের আরো খবর