,

প্রিয় পারফিউমটিও যেভাবে হতে পারে ক্ষতির কারণ

সময় ডেস্ক ॥ আপনি ভাবতে পারেন পারফিউম বা সুগন্ধিতে কী আছে তা খুঁজে বের করা লেবেল পড়ার মতোই সহজ। কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। কারণ বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হওয়া প্রায় প্রতিটি পারফিউমে রাসায়নিকে ঠাসা থাকে। যেটা পণ্যের গায়ে আলাদাভাবে লেখা থাকে না। তখন এই রাসায়নিকগুলো কেবল ‘সুগন্ধি’ শব্দের মধ্যে থেকে যায়। যেহেতু সুগন্ধির ভেতর থাকা অনেক উপাদান আপনি জানেন না, তাই সুগন্ধি আপনার শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে কি না তা বোঝাও মুশকিল।
তবে সুসংবাদটি হলো সুগন্ধি ব্যবহারের কারণে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি বা ‘সুগন্ধি বিষক্রিয়া’ হওয়াটা বিরল। কিন্তু সাময?িকভাবে সুগন্ধির সংস্পর্শে অ্যালার্জি এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এখন চলুন জেনে নিই অসুবিধা যদি হয়েই যায় কী কী লক্ষণ হতে পারে।
সুগন্ধি বিষক্রিয়ার মারাত্মক লক্ষণ- তাপমাত্রা বা শরীরে জ্বর, ফোড়ার মতো ওঠা, তন্দ্রা বা শক্তি কমে আসা, বিভ্রান্তি, মাথা ঘোরা, উচ্চ হৃৎস্পন্দন। এ লক্ষণগুলো থাকলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।
সুগন্ধি যদি ভুলে মুখে চলে যায় তাহলে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে- হাঁটার সময় ভারসাম্য নিয়ে সমস্যা, কথা বলতে অসুবিধা, অলসতা বা শক্তির অভাব, শ্বাসে অ্যালকোহলের গন্ধ, বমি বমি ভাব বা বমি।
ত্বকে কোনো সমস্যা হলে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে- র‌্যাশ, চুলকানি, জ্বলাভাব বা লাল হয়ে যাওয়া, ত্বকে সংবেদনশীলতা।
কী করবেন যদি খেয়ে ফেলেন-
১. আপনি বা কোনো শিশু যদি সুগন্ধি খেয়ে ফেলে বেশি পরিমাণে তাহলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. অল্প পরিমাণে সুগন্ধি মুখে চলে গেলে প্রচুর পানি পান করুন। হালকা নাশতা করতে পারেন। কিন্তু ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দেয় কি না সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রচুর পরিমাণে তরল এবং হালকা নাশতা দিতে হবে, যাতে রক্তে শর্করা বিপজ্জনক মাত্রায় নেমে না যায়। সাধারণত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিপদ কেটে যায়।
কী করবেন যদি ত্বকে সমস্যা শুরু হয়-
১. ত্বকের ওই স্থানটি বেশি করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে ভালো।
২. কিছু প্রাকৃতিক প্রসাধনী, যেমন-ক্যালামাইন লোশন, অ্যালোভেরা অথবা নারিকেল তেল লাগাতে পারেন।
৩. হাইড্রোকোর্টিসোন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সূত্র : হেলথ লাইন।


     এই বিভাগের আরো খবর