,

ফুটবল কেন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি ॥ জানালেন প্রিন্স উইলিয়াম

সময় ডেস্ক : ব্রিটিশ রাজপুত্র উইলিয়ামের ফুটবল খেলা দারুণ পছন্দ। ব্যক্তিগতভাবে ফুটবল ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার সমর্থক। আগে ওয়েন রুনির খেলা বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখতেন প্রিন্স উইলিয়াম। দুই তারকা ইংলিশ ফুটবলার হ্যারি কেইন ও ডেকল্যান রাইসের সঙ্গে সম্প্রতি আড্ডায় বসেছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস। কোপা ৯০ ফুটবলের গেম অব ফাইভস নামের একটি পর্বে অংশ নেন তাঁরা। সেখানেই জানালেন, ফুটবলই তাঁকে শিখিয়েছে, হতাশা জীবনেরই অংশ। তাঁর ভাষ্যে, ‘আপনি যত খেলবেন, তত শিখবেন। কিন্তু অনেক কিছুর মতোই হতাশা জীবনের একটা অংশ। কীভাবে তার সঙ্গে মানিয়ে চলছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
শৈশব থেকেই ফুটবল প্রিয়- ফুটবল খেলার আনন্দ ভীষণ উপভোগ করেন প্রিন্স উইলিয়াম। কৈশোরে যতটা না ফুটবল খেলতেন, তার চেয়ে ফুটবল খেলা দেখতে পছন্দ করতেন বেশি। একসঙ্গে চারটি ম্যাচও খেলেছেন প্রিন্স উইলিয়াম। স্কুলে পড়ার সময় ৬০ জন মিলে একাধিক বল নিয়ে সেই খেলা খেলেছেন তাঁরা। স্কুলে ফুটবল খেলার সময় উইলিয়ামের প্রিয় ফুটবলার ছিলেন ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার রিও ফার্দিনান্দ। উইলিয়াম জানান, ‘(তাঁকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ধরেই) আমি ডিফেন্ডার হতাম। আমি পেছনে দাঁড়াতাম আর আমাকে বলা হতো প্রতিরোধ করতে।’
বন্ধুত্ব তৈরি করে ফুটবল- ফুটবলের কল্যাণে প্রিন্স উইলিয়ামের জীবনে অনেক বন্ধু তৈরি হয়েছে। প্রিন্সেস ডায়ানার বড় পুত্র বলেন, ‘জীবনের অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুই খেলার মাঠে পেয়েছি। খেলার সময় প্রতিকূলতাকে কাটিয়েই একসঙ্গে সামনে যেতে হয়। বন্ধুত্বের মাধ্যমে জীবনে আমরা সামনে এগিয়ে যাই। একসঙ্গে খেলাধুলা, চাপান কিংবা গল্প করার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্কগুলোকে মজবুত করি।’
হতাশা যখন জীবনের অংশ- পরিবারের বাইরে আরেকটি শক্ত পরিবার ফুটবলের মাধ্যমেই তৈরি হয়, মনে করেন উইলিয়াম। তিনি বলেন, ‘অতীতের অনেক ফুটবল ম্যাচে ইংল্যান্ডের হেরে যাওয়ার বিষয়টি মানিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন ছিল। হারের দিনগুলো আমার জন্য ছিল খুবই কঠিন। ফুটবলে হেরে আমাদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে কতবার! তবে মনে রাখবেন, আপনি এভাবেই সামনে এগিয়ে যাবেন। এভাবেই এগিয়ে চলে জীবন।’
ফুটবলারদের মানসিক সংকট- ফুটবলের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের মতো বিষয়কে আলোচনায় আনার জন্য বছর দুই আগে ‘ফুটবল, প্রিন্স উইলিয়াম অ্যান্ড আওয়ার মেন্টাল হেলথ’ নামের একটি তথ্যচিত্রে অংশ নেন প্রিন্স উইলিয়াম। সাধারণভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন ছেলেরা। সেই দ্বিধা কাটাতেই ফুটবলকে বেছে নেন তিনি। সেখানে ইংল্যান্ডের নানান ক্লাবের ফুটবলাররা অংশ নেন। ফুটবলারদের মানসিক সংকট নিয়েও বিভিন্ন সময়ে উইলিয়ামকে কথা বলতে দেখা গেছে।
জীবনকে খুঁজতে ফুটবল- প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে আলোচনায় ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব ২১ দলের খেলোয়াড় মারভিন সরডেল শোনান তাঁর জীবনের গল্প। কীভাবে জীবন থেকে বিদায় নিতে চাচ্ছিলেন, বাবা হারানোর শোকে বিভ্রান্ত ছিলেন সেই অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন এই তরুণ ফুটবলার। প্রিন্স উইলিয়ামও নিজের মা প্রিন্সেস ডায়ানাকে হারানোর কষ্টের কথা তুলে ধরেন। পুরুষেরা যেসব মানসিক ও মানবিক সংকটে পড়েন, তা নিয়ে আলোচনা করেন অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা। ফুটবলাররা কীভাবে শোক কাটিয়ে আবারও মাঠে ফিরে আসেন, সেই গল্প তুলে ধরা হয় ফুটবলারদের অংশে।
জিকিউ অবলম্বনে


     এই বিভাগের আরো খবর