,

ব্যাডমিন্টন খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃস্টে নিহত সদর হাসপাতালের মর্গে ৩৮ ঘণ্টা পড়ে ছিল কিশোরের লাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার ৩৮ ঘণ্টা পর এক কিশোরের লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। লাশ রাখার হিমাগার না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে ওই কিশোরের পরিবার। পুলিশ বলছে, হাসপাতালে চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় যথাসময়ে লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি। মৃত কামরান আখঞ্জী (১৪) হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মুখকান্দি গ্রামের আবদুল হাই আখঞ্জীর ছেলে।
সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কামরানের মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। মর্গে পাঠানোর ৩৮ ঘন্টা পর গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কামরানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘৩৮ ঘণ্টা নয়, ময়নাতদন্ত করতে ২৪ ঘণ্টা দেরি হয়েছে। লাশ শুক্রবার রাতে আনা হয় হাসপাতালে। এ সময় আমরা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সম্মেলনে ঢাকায় ছিলাম। এ ছাড়া পুলিশও সুরতহাল প্রতিবেদন দিতে দেরি করেছে। শনিবার লাশটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।’
এই বিলম্ব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ২৫ থেকে ২৭ জন চিকিৎসক স্বাচিপ সম্মেলনে ঢাকায় গিয়েছিলেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলেন। যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনিও ছিলেন অনুপস্থিত। এ কারণে লাশের ময়নাতদন্ত আজ করতে হয়েছে।
তবে থানা-পুলিশ বলছে, চিকিৎসকের অনুপস্থিতির কারণেই যথাসময়ে ময়নাতদন্ত হয়নি। বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হাসান খান বলেন, লাশের সঙ্গেই সুরতহাল প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। মর্গে লাশের সঙ্গে একজন পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক ছিলেন।
মৃত কিশোরের বাবা আবদুল হাই আখঞ্জী বলেন, চিকিৎসক না থাকার কারণেই ছেলের লাশ মর্গে পড়ে ছিল। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আইনি জটিলতা থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।
আবদুল হাই আখঞ্জী আরও বলেন, ‘লাশ নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। হাসপাতালে লাশ রাখার হিমাগার নেই। পরে লাশ চা-পাতা ও বরফ দিয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল।’


     এই বিভাগের আরো খবর