,

নবীগঞ্জের কমলাপুরে সরকারী খাল বিক্রি বিপাকে গ্রামবাসী :: প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নবীগঞ্জের কমলাপুরে সরকারী খাল বিক্রি :: বিপাকে গ্রামবাসী সংবাদটি গতকাল রোববার ২৭/১১/২০২২ইং তারিখে দৈনিক হবিগঞ্জের জনতার এক্সপ্রেস পত্রিকার ১ম পৃষ্টায় প্রকাশি সংবাদটি আাদের দত্তগ্রামবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। একটি কুচক্রী মহলের লোক তাদের হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও কাল্পনিক বটে। মূলত উক্ত খালটি দত্তগ্রাম মৌজা সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই দত্তগ্রাম মৌজায় অবস্থিত। খালটি দত্তগ্রামবাসীর একমাত্র খাল। যা সর্বসাধারণ দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার করে আসছিল এবং এর পাশে লায়েক পতিত জমিও রয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষের প্রয়োজনীয় খাল। লায়েক পতিত ভূমিতে গরু চরানো ও ঘাস খাওয়ানো হয়। ৭নং করগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা কমলাপুর গ্রামের খালিছ মিয়া ও জাহির আলী দত্তগ্রামের লায়েক পতিত জমি কাটিয়া পঞ্চায়েতের রাস্তা ও গরু চলাচলের রাস্তা বন্ধ করিয়া এবং কিছু লায়েক পতিত কাটিয়া জমি তৈরি করে। উক্ত খালটিতে অবৈধভাবে ধান রোপন করা হয়। যাহার ফলে গ্রামবাসী ঠিকমতো খালের পানি ব্যবহার করতে পারে না। আমাদের গ্রামের শব্দকর সমাজের কিছু লোকও রয়েছে। খালিছ মিয়া ও জাহির আলী উক্ত খাল হইতে মাছ এবং মাটি তুলিতে দেয় না। অথচ নিজেরা উক্ত খাল হইতে মাটি কাটিয়া নিয়া তাহাদের বাড়ীতে ভিট নির্মাণ করে রেখেছে। তাদের অত্যাচারে গ্রামের নিরীহ লোকজন কোন কথা বলতে পারে না। তাছাড়াও আশপাশের লোকজনকেও উক্ত খালে আসতে বাধা প্রদান করে এবং তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকী দিতে থাকে। দত্তগ্রামবাসীর কিছু লোক পঞ্চায়েতের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে, গ্রাম্য পঞ্চায়েত বসিয়া তাদেরকে জিজ্ঞাসা করিলে, তারা বিচারকদের কথা অমান্য করে। তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে খালটি তাদের আওতায় নেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচার ও মিথ্যা বানোয়াট কথা প্রচার করে আসছে। ৭নং করগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা কমলাপুর গ্রামের জাহির আলী ও খালিছ মিয়া ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন ও মোঃ আলী হোসেন মিয়া এবং শ্রী কৃষ্ণ সরকারের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা সংবাদ ও থানায় সাধারণ ডায়েরী করে। উক্ত সংবাদে গ্রামবাসী ও মুরব্বীয়ান ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউ/পি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব তাদেরকে আনিয়া ভুয়া সংবাদ ও সাধারণ ডায়েরী প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত খালটি দত্তগ্রাম মৌজায় অবস্থিত এবং দত্তগ্রামবাসী ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। যাহা ৭নং করগাঁও ইউনিয়নের মুক্তাহার, পাঠলী ও কমলাপুর গ্রামের সনাতন ধর্মের লোকজন অবগত আছেন। আরো প্রকাশ হয় যে, খালিছ মিয়া এবং জাহির আলীর সাথে নবীগঞ্জ থানা পয়েন্টে কথা কাটাকাটি হয়। যাহা সত্য নয়। আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী, দত্তগ্রামবাসীর পক্ষে
মোঃ রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ।
মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার।
শেখ আব্দুল হাকিম, সাবেক মেম্বার ও ৮নং সদর ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি।
পরেশ দাশ, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
শেখ আব্দুর রকিব, সাবেক সহ সভাপতি, নবীগঞ্জ থানা যুবদল।
মোঃ হারুনুর রশিদ হারুন, সাবেক সভাপতি, নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল।
মাওলানা কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপি।
শাহ হোসাইন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক, ৮নং সদর ইউপি, বিএনপি।
পিন্টু পুরকায়স্থ, ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা।
মোঃ হিফজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড বিএনপি।
মোঃ আব্দুল আজিজ, সাবেক সভাপতি, ওয়ার্ড বিএনপি।

 


     এই বিভাগের আরো খবর