,

বাহুবলে ডিসি ও ইউএনও’র প্রচেষ্টায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাঁতশিল্প

বাহুবল প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও বাহুবলের ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিলিপ্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্ত থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাহুবলের কালিগজিয়ায় তাঁতশিল্প। শিল্পীদের মাঝে এখন আনন্দঘন পরিবেশ।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের গভীর জঙ্গলে বসবাস করছেন প্রায় ৩ শতাধিক ত্রিপুরা আদিবাসী। এরইমাঝে ৩০টি পরিবারের মাঝে ওই কাজটি আগ্রহের সাথে করছিলেন।
ক্রমাগত সুতার মূল্য বৃদ্ধি, রং ও রাসায়নিক দ্রব্যাদির দাম বৃদ্ধি এবং তাদের উৎপাদিত বস্ত্র সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের সমস্যার কারণে তাঁতীরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়েছিল। অনেকে পেশা বদলে অনেক তাঁতী হশাতার মাঝে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়ে পড়েন। তাঁতীদের সুষ্ঠু সংগঠন, মূলধনের অভাব ও ন্যায্য মূল্যে মানসম্পন্ন উৎপাদন উপকরণ সহজলভ্য না হওয়া, প্রযুক্তিগত অনগ্রসরতা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাব, উৎপাদিত বস্ত্রের সুষ্ঠু বিপণনের অভাব প্রভৃতি তাঁত শিল্পের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়ায়।
এতে তাঁত শিল্পের সার্বিক উন্নয়ন ও তাঁতীদের কল্যাণার্থে এগিয়ে আসেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ও বাহুবলের ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমা। উভয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় তাঁতীদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া তাঁতীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কেন্দ্র রয়েছে। আর্থিক অনুদান ও তদারকির মধ্যদিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে তারাই নিজেদের প্রয়োজনীয় কাপড় তৈরি সহ আকর্ষণীয় লাল সুবুজ, লেহেঙ্গা,গঙ্গা যমুনা শাড়ী ও উড়না সহ হরেকরকম কাপড় বাজারজাত করা সম্ভব হয়েছে।
তাতবোনা সমবায় সমিতির সভাপতি স্বপ্না বর্মা,সম্পাদক শিল্পী বর্মা জানান, আদিকালের তাঁতশিল্প হারিয়ে যাওয়ার পথে ছিল। এমতাবস্থায়, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও’র হস্তক্ষেপে এখন পুরোপুরি কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠছে। অভিমত পোষণ করতে গিয়ে তারা আরও বলেন,স্যারেরা যেমন খুব ভালমানুষ তেমনি অমায়িক মহৎকর্মশীল।


     এই বিভাগের আরো খবর