,

মাধবপুরে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ প্রবাসীসহ ২ জনের ফাসির রায় :: আদালতে লম্পট শাহীদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

জুয়েল চৌধুরী : মাধবপুরে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে এক প্রবাসীসহ ২ লম্পটকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার সময় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এসএম নাসিম রেজা এ দণ্ডাদেশ দেন। রায় প্রদান কালে আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি মোঃ মোস্তফা মিয়া। আসামী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট আব্দুল ওয়াহাব।
পেশকার মোঃ ফজলু মিয়া সূত্রে ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৮ জুন রাত অনুমান ১১ টার সময় ওই কিশোরী ও তার ছোট বোন একা বাড়ীতে ঘুমিয়ে পড়লে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে একই গ্রামের ওয়াদ আলীর পুত্র শাহীদ মিয়া (৪০) রাজেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র তার সহযোগী মোস্তফা মিয়া (৫০) কৌশলে ঘরে ঢুকে ভঙ্গবীর ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৬) কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গনধর্ষণ করে। এব পর্যায়ে সে চিৎসার শুরু করলে তাকে বুকে ডেগার ধরে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। লম্পটরা একাধিকবার ধর্ষণ করে গভীর রাতে চলে যায়। এ ব্যাপারে কোন রকম বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দিয়া যায়। তাদের পাশবিক নির্যাতনে কিশোরীর জামাকাপড় ছিড়ে যায়। সকালে ছিড়া জামাকাপড় খুলে গোসল করে নতুন জামাকাপড় পরে এবং এই কারনে ধর্ষনের বিভিন্ন আলামত নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি তার পিতাকে জানালে পিতা কুমিল্লা থেকে বাড়ীতে চলে আসে। মাধবপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষনিক মাধবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ লম্পটকে গ্রেফতার করে কোর্টে সোপর্দ করে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে।
লম্পট শাহীদ মিয়া ধর্ষণ করেছে মর্মে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। দীর্ঘদিন হাজত বাস করার পর উচ্চ আদালত থেকে সৌদি প্রবাসী শাহীদ মিয়াসহ মোস্তফা জামিন লাভ করে। এদিকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকমর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ আলম ২০১৯ সালের ২৪শে অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন। রায় শেষে আসামী ২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্টপক্ষে মামলা রায়ে সন্তষ প্রকাশ করেছেন। আসামীপক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধ আদালতে আপিল দায়ের করবেন বলে জানিয়েছন। তবে মোস্তফা মিয়া সে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেছে এবং শাহীদ মিয়া বিষয়টি স্বীকার করে জানায় আপোষে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু প্রথমে আপোষ মানিয়া পরে অস্বীকার করেছে, যার দরুন আজ ফাসির আদেশ হল।


     এই বিভাগের আরো খবর