,

চৌকি গ্রামে চয়ন খুনের ঘটনায় দৌলতপুর গ্রাম পুরুষ শুন্য

রাকিল হোসেন ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি গ্রামের চয়ন রায় খুনের ঘটনায় বানিয়াচংয়ের দৌলতপুর গ্রাম এখন পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। নারী ও শিশুরা ভয়ে রাত্রি যাপন করছে। গত বৃহস্পতিবার দু’গ্রামবাসীর মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষ হয়। তিন দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় চয়ন রায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় চয়নের ভাই বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাত রেখে নবীগঞ্জ থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে দৌলতপুর গ্রামের মানুষ। এদিকে সংঘর্ষে অপর গুরুতর আহত ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রতন দাশের অবস্থা আশংকামুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ ও প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র সম্ভল মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি গ্রামের পিলু দাশের ফিশারীতে জোরপূর্ব মাছ ধরতে যায়। এতে পিলু দাশ বাধা দিলে সম্ভল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তাকে প্রাণনাসসহ উচিত শিক্ষা দেয়ার হুমকি দেয়। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতপুর গ্রামের মৃত চান মিযার পুত্র আবুল কালাম আজাদ ও মৃত সোলেমান মিযার পুত্র রব্বানী মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৮০/৯০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অরবিন্দু দাশের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পিলু দাশ ও চয়ন দাশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে উত্তেজিত লোকজন তাদের উপরও হামলা করে। এতে চয়ন দাশ গুরুতর আহত হন। এদের বাচাতে রতন দাশ এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রামের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দৌলতপুর গ্রামের লোকজন চৌকি গ্রামের সমীরণ দাশের একটি মটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ও বানিয়াচং-এর মার্কুলী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ঘটনার পরপরই আহত চয়ন দাশ (৩০) ও রতন দাশ টিক্কা (৩৫)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি কৃত চয়ন দাশের অবস্থার অবণতি ঘটলে শুক্রবার দুপুরে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ৩ি দন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে শনিবার দুপুরে চয়ন দাশের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসী জানান, দৌলতপুর গ্রামের লোকজন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর ও আহত করে। অপর তাদের তান্ডবে রেহাই পায়নি শিব মন্দিরও। হামলাকারীরা উক্তমন্দির ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই ধর্মজিৎ সিনহা জানান, আসামী গ্রেফতারে মার্কুলী ফাঁড়ী পুলিশসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই আসামী গ্রেফতার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আহত রতনের অবস্থাও আশংকামুক্ত বলে জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর