,

দীঘলবাকে অবৈধভাবে খাশ জমি থেকে মাটি উত্তোলন

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের সরকারি জমি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে টমটম ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ফলে জমির নিকটবর্তী রাস্তাঘাট এবং ঘরবাড়ি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এদিকে দ্রুত মাটি কাটা এবং বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। উপজেলা প্রশাসন বলছেন, অবৈধ ড্রেজার দিয়ে সরকারি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের পশ্চিমে চত্রকোট ও মোস্তফাপুর মৌজায় স্থানীয় প্রভাবশালী ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত গিয়াস উদ্দিনের পুত্র রুবেল মিয়া, মৃত আরফিক উল্লার পুত্র মোশাহীদ ওরফে মসু মিয়া, মৃত সমুজ উল্লার পুত্র এমদাদ, আজবার উল্লার পুত্র জেবেল মিয়া ও আমজদ মিয়া গংরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাশ জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি বিক্রি করে আসছেন। এতে সুনামগঞ্জ, রানীগঞ্জ আউশকান্দি ভায়া ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের জমি এবং নদীর পারের রাস্তা এবং ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
পাশাপাশি রোডস এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের ৩০ টনের ফউরওয়েল ট্রাক ওই রোডে চলাচলে নিষিদ্ধ থাকলেও ওই প্রভাবশালীদের মাটি পরিবহনের কারণে রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে, জনসাধারণ তথা যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা কাঁদা মাটি এবং ধুলো বালিসহ ট্রাকের কালো ধোঁয়ার কারণে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। এলাকাবাসীর বাঁধা উপেক্ষা করে প্রভাবশালীরা কোন বাঁধাই মানছে না। এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, তারা এলাকার প্রভাবশালী সরকারী দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে উল্লেখিতরা বিএনপি ও আওয়ামীলীগের সমর্থক। সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী খাশ জমি থেকে মাটি বিক্রি করে আসছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার বলেন, সরকারী খাশ জমিতে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি মাটি কাটে বা বালু উত্তোলন করে তাহলে আমরা তা বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।


     এই বিভাগের আরো খবর