,

হবিগঞ্জে খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নদী থেকে শ্যালো মেশিন বা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে বেশ বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি ব্রিজ হুমকির মুখে। যে কোনো সময় ধ্বসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন গ্রামের শত শত মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে বলে জানা গেছে। এ কাজে জড়িত স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে নদীভাঙনের আশঙ্কা যেমন বাড়ছে, তেমনি নদীপাড়ে বালুর স্তূপ জমিয়ে রাখায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমির উর্বরতাশক্তি। অন্যদিকে, ভোগান্তির শেষ নেই নদীর পাড় দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষের।
সরেজমিন দেখা যায়, হবিগঞ্জ শহরের মাছুলিয়া, কিবরিয়া ব্রিজ, কামড়াপুর ব্রিজ, শায়েস্তাগঞ্জের নতুন ব্রিজ, পুরাতন ব্রিজ, চুনারুঘাটের কাজিরখিল খোয়াই সেতু, পাকুড়িয়া খোয়াই সেতু, রাজার বাজার খোয়াই সেতু এলাকাসহ আমকান্দি ঝুঁকিপূর্ণ খোয়াই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় নদীতে শতাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
উপজেলার খোয়াই নদীর সীমানায় ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে নদীর পাড়ে ঢুকছে ট্রাক, ট্রাক্টর ও এক্সক্যাভেটর। এগুলো নদীর তীরে নেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্বিচারে কাটছে যে যার মতো করে। এতে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এছাড়া সেতুর এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও সেতুর আশপাশেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবৈধ এই কার্যক্রম বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বারবার জরিমানা করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় এসবে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর দিয়ে বালু নেওয়ায় পরিবেশের ব্যাপক তিসহ নদীর দুই পাড়ের প্রতিরক্ষা বাঁধ, সেতু ও বাড়িঘর হুমকির মূখে পড়েছে। এমনকি রাস্তাঘাটও ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ ছাড়া খোয়াই নদীর বিভিন্ন অংশে ইজারা নেওয়া ৩ জনও সরকারি নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করছেন। তারা বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসরণ না করে বালু ও মাটি উত্তোলন করে যাচ্ছেন। ফলে এলাকাবাসীর অভিযোগ, হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাই তারাও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।


     এই বিভাগের আরো খবর