,

ডিবির অভিযানে লস্করপুর থেকে ১০ জুয়াড়ি আটক

আসরে দ্বিগুন লাভে সুদে টাকা লাগায় কতিপয় ব্যক্তি

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে জুয়া ও মাদক ব্যবসা জমে উঠেছে। ডিবি পুলিশ বারবার অভিযান চালিয়েও এসব দমন করতে পারছে না। পুলিশের তালিকায় জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক মাদক জুয়ার স্পট রয়েছে। প্রতিদিন বিকাল থেকেই এসব স্পটে জুয়াড়ি ও মাদক ব্যবসায়ীরা আনাগোনা শুরু করে। এতে একদিকে চুরি, ছিনতাই বাড়ছে, অন্যদিকে যুবসমাজ বিপথে যাচ্ছে। গত বুধবার বিকালে পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলির নির্দেশে ডিবির ওসি সফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই সোহেল রানা ও আলমগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লস্করপুর ইউনিয়নের চরহামুয়া বইচড়ার শংকর দাসের ধানেেত অভিযান চালিয়ে ১০ জুয়াড়িকে আটক করে। এ সময় নগদ ১০ হাজার ১শ টাকা ও তাস জব্দ করা হয়।
আটকরা হল, চরহামুয়া গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের পুত্র আব্দুল আহাদ (৪০), পইল বড়বাড়ি গ্রামের তৈয়ব আলীর পুত্র মুরগি ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া (৩৫), সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র এনপিপি নেতা ও সাবেক মেয়র এবং এমপি প্রার্থী আব্দুল কাদির (৪৫), সুলতানশী গ্রামের আব্দুল আওয়ালের পুত্র ইকবাল মিয়া (২২), পইল বড়বাড়ি গ্রামের মন্নর আলীর পুত্র সুলতান আলী (৩৫), গন্ধবপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র কামরুল হাসান (৩৫), পইল আসামপাড়া গ্রামের কদর আলীর পুত্র সালমান মিয়া (২২), চরহামুয়া গ্রামের বাবুল দাসের পুত্র রাজীব দাস (২৮), বানিয়াচং উপজেলার রতনপুর গ্রামের সোয়াই মিয়ার পুত্র জালাল মিয়া (৪০) ও বরকান্দি গ্রামের তাহির মিয়ার পুত্র নজির মিয়া (২২)।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জুয়া ও মাদকসেবনের কথা স্বীকার করে। তারা আরও জানায়, এক শ্রেণির সুদি ব্যবসায়ীরা জুয়ার আসরে সুদে টাকা লাগায়। তারা বিপদে পড়ে তাদের কাছ থেকে ২৪ ঘণ্টায় দ্বিগুণ লাভে টাকা নেয়। অনেকে এসব জুয়ার আসরে টাকা লাগিয়ে শুন্য থেকে কোটিপতি বনে যাচ্ছে। এ ঘটনায় ডিবির এসআই সুহেল রানা বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ থানায় একটি জুয়ার আইনে মামলা করেছে। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। ডিবির ওসি জানান, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে অভিযান নিয়মিত চলবে।


     এই বিভাগের আরো খবর