,

এডিশনাল এসপি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বাহুবলে ২৩টি সিএনজি আটক

নুরুল ইসলাম মনি ॥ বাহুবলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ২৫ কিলোমিটার ব্যাপী সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ থাকায় পথে পথে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ অটোরিক্সা ধরপাকড় শুরু করে। এতে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়ক সংলগ্ন ৬টি বাজার সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের বিকল্প পথ এবং যানবাহন না থাকায় ছাত্রছাত্রী সহ যাত্রীদের ইমা ও মেক্সি গাড়ির ছাদে-বাম্পারে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় চলাচল করতে দেখা গেছে। সম্প্রতি সড়ক পথ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থান নেন। এরপর থেকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে। এতে মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল কিছুটা কমে গেলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশ কঠোর হয়। হবিগঞ্জের এডিশনাল এসপি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও বাহুবল মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন পিপিএম-এর নেতৃত্বে পুলিশ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার লষ্করপুর থেকে সম্ভুপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রুটে অভিযান শুরু করে। বেলা ৪টার দিকে ওসি মোশাররফ হোসেন পিপিএম জানান, ওই রুট থেকে ২৩টি অটোরিক্সা আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, মহাসড়কের বশিনা, মিরপুর, দৌলতপুর ও ডুবাঐ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অটোরিক্সা চলাচল বন্ধের নির্দেশনা কার্যকর করা হচ্ছে। এদিকে, আটকাভিযানের ফলে মহাসড়কের লষ্করপুর থেকে সম্ভুপুর পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার ব্যাপী অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ রুটে বাস, মেক্সি ও ইমা চলাচল নেই। শায়েস্তাগঞ্জ, মিরপুর, বাহুবল, ডুবাঐ, পুটিজুরী ও দ্বিগাম্বার বাজার সহ ১৫/১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতে মহাসড়ক ছাড়া বিকল্প কোন রুটও নেই। এতে চরম বিপাকে পড়ে ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ যাত্রীরা। এক পর্যায়ে এ রুটে কিছু সংখ্যাক ইমা ও মেক্সি নামানো হলেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কোথাও কোথাও নারী-পুরুষ যাত্রীদের ইমা ও মেক্সি গাড়ির ছাদ ও বাম্পারে ঝুলন্ত অবস্থায় যাতায়াত করতে দেখা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর