,

ভাই-ভাতিজার আক্রমনে হার্ট এ্যাটাকনবীগঞ্জে সাহিদ মিয়ার বাসায় হামলা ॥ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ পৌর এলাকার আনমুনু গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আব্দুস সহিদ ওরপে সাহিদ মিয়ার নিজ বাসভবনে একদল র্দুদান্ত দাঙ্গাবাজ হামলা চালিয়ে ঘরে প্রবেশ করে বাসার লোকজন মারপিট ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ অর্থসহ প্রায় ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকার মুল্যমান মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাহিদ মিয়া বাদি হয়ে ১৯জনের নাম উল্লেখ করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া উক্ত ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গভীর রাতে তাকে উদ্ধার করে শশুড় বাড়ি রাজাবাদ গ্রামে দিয়ে আসেন। এরপরই এ ঘটনার আতংকে তার বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তার হার্ট এ্যাটাক হয়েছে জানিয়ে দ্রুত তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার ঢাকা যাওয়ার কথা রয়েছে। তার এই অসুস্থতার জন্য হামলাকারীদের দায়ী করেছেন আব্দুস সহিদ সাহিদ মিয়া। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ৯ই আগষ্ট আব্দুল কাদির ২০/২৫ জনের একদল লোক নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সহিদ মিয়ার বাসার সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও ডাকাডাকি করে। সহিদ মিয়া সাথে সাথে থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। এবং আত্মগোপন করে। পুলিশ সহিদ মিয়াকে শান্তনা দিয়ে চলে যায়। এদিকে আব্দুস সহিদ ওরপে সাহিদ মিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তার আত্মীয় হলে তাদের কু’কাজে আশ্রয় না দিয়ে প্রতিবাদ করাটাই তার জীবনের কাল হয়ে দাড়িয়েছে। কাদির ও তার লোকজনের অথ্যাচার নির্যাতনে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতা ভোগ করছেন। তিনি বলেন, সমাজে তার যে গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে মদখুরদের কারনে তা বিনষ্ট হতে পারে না। এক পর্যায়ে তিনি বলেন এ অবস্থায় তার মৃত্যু হলে হামলাকারীরাই দায়ী থাকবেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর