,

নবীগঞ্জের দিনারপুরে চার পাহাড় খেকোর বিরুদ্ধে মামলাসোনা মিয়া চক্রের খুটির জোর কোথায়..?

স্টাপ রিপোর্টার ॥ পাহাড় কাটার সংবাদ দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকাসহ বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। গত মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আনোয়ার হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে কয়েকটি কাটা পাহাড়ে অভিযান পারিচালনা করেন। এ সময় অপরাধীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পাহাড় কাটার অপরাধে গোপলার বাজার ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশীলদার আশুতোশ বণিক বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১৫ জন কে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। মামলার আসামীরা হলেন, বনগাও গ্রামের মৃত: নোয়াব উল্লাহর ছেলে সোনা মিয়া, মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে আজমল হোসেন, রহমত মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া, মুজিবুর রহমান নামে জনৈক ব্যক্তি। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী সোনা মিয়া নেতৃত্বে এলাকায় গড়ে উঠেছে পাহাড় কাটার বিশাল একটি সিন্ডিকেট। তার সাথে রযেছে একই গ্রামের সেলিম মিয়া, কমল মিয়া, জয়নাল মিয়া, ময়না মিয়াসহ একদল পাহাড় খেকো। আর এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই দিনারপুর এলাকার পাহাড় কাটা হয়। প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে মাটি ও বালি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেটের পডফাদারসহ অন্যান্যসদস্যরা। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে অহরহ। এ বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হয়। এরই প্রেক্ষিতে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন মোবাইল কোর্ট। গত মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেন পাহাড় কাটার কয়েকটি স্পটে সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান। তবে এ সময় জড়িতদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে পাহাড় খেকোদের তথ্য সংগ্রহ করেন। এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ইউপি তহশীলদার আশুতোষ বনিককে বাদী করে থানায় একটি মামলা দেয়া হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর