,

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা২১শে আগষ্ট আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছিল

সময় ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যেমন জিয়াউর রহমান জড়িত তেমনি ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান জড়িত। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ভয়াবহ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার কাজ চলছে, আশা করি প্রকৃত অপরাধীরা উপযুক্ত সাজা পাবে। এটা অবশ্যই হতে হবে। না হলে দেশে সন্ত্রাস বাড়তে থাকবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে এ সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সভায় বক্তব্য দেয়ার আগে সেখানে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। পরে কেন্দ্রীয় ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কাছে পেয়ে স্বজন ও আহতরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় শেখ হাসিনাকেও চোখের পানি মুছতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানবাধিকারের মানদণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বিকাল চারটা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী স্মরণসভা স্থলে প্রবেশ করেন। প্রথমে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তারপর প্রথমে প্রধানমন্ত্রী পরে দলীয় সভানেত্রী হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শদীহদের স্মৃতির প্রতি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাহারা খাতুন, ড: মহিউদ্দিন খান আলমগীর, এইচটি ইমাম, সতীশ চন্দ্র রায়, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, মাহবুব-উল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড: আবদুল রাজ্জাক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, কর্নেল ফারুক খান, ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, এনামুল হক শামীম প্রমুখ। এ ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের এমএ আজিজ, যুবলীগের ওমর ফারুক চৌধুরী, হারুন অর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মো: আবু কাওছার, পঙ্কজ দেবনাথ, কৃষক লীগের মোতাহার হোসেন মোল্লা, খন্দকার শাসমুল হক রেজা, ছাত্রলীগের সাইফুর রহমান সোহাগ, জাকির হোসাইন, মহিলা লীগের আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুব মহিলা লীগের নাজমা আক্তার ও অপু উকিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদন ও বক্তৃতা শেষে অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, তখন মানুষের ঢল নামে। ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ, যুবলীগ উত্তর ও দক্ষিণ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, তাতী লীগ, শহীদ মোস্তাক আহমেদ সেন্টু পরিষদ, একুশে আগস্ট বাংলাদেশ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পেশাজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, মৎসজীবী লীগ, তরুণ লীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত বিভিন্ন সংগঠন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর