,

Exif_JPEG_420

আজমিরীগঞ্জে প্রশাসনের নজরদারির মধ্য দিয়ে শেষ পৌষ সংক্রান্তির মেলা

মোঃ আশিকুর রহমান, আজমিরীগঞ্জ : আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় জলসুখা ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী পৌষ সংক্রান্তির মেলা শুরু হয়েছিল গত শনিবার (১৪ জানুয়ারী)। পৌষ মাসের শেষ দিন। প্রতি বছর এই দিনে জলসুখা ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামের কাল ভৈরব মন্দিরের মাঠ প্রাঙ্গণে ২ দিনের জন্য মেলা বসে। শত শত বছর ধরে বাংলা বর্ষপঞ্জীর পৌষ মাসের শেষ দিন ও মাঘ মাসের প্রথম দিনকে পৌষ সংক্রান্তি বলে গণ্য করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলে আসে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে বছরের শুরু থেকেই শিশু-কিশোরেরা মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো শুরু করে। আর মেলার দিন ঘনিয়ে আসলে সকল বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়। মেলার পণ্যসমাগ্রী তারা আত্মীয়-স্বজন ও পরস্পরের মধ্যে উপহার হিসেবে প্রেরণ করে থাকে। মেলাকে ঘিরে একে অপরের বাড়িতে বেড়াতেও যায়। মেলা থেকে ক্রয় করা মুড়ি-মুড়কি পুচকা, নাড়ো চটপটিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। শিশু-কিশোরেরা মেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের খেলনা কিনে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। তাছড়া নাগর দোলায় চড়া, বায়স্কোপ দেখা, ঘোড়ায় চড়াসহ বিভিন্নভাবে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে এই মেলা উদযাপন করে থাকে।
পুরুষেরা মেলা থেকে প্রসাধনীসহ অলংকার কিনে নারীদেরকে উপহার দেয়। মেলায় লাঠিসহ কাঠের এবং লোহার তৈরী বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনার ধুমও পড়ে। মেলা শেষ হলেও শেষ হওয়ার অনেকদিন পর্যন্ত শিশুসহ সব বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে মেলার আমেজ বিরাজ করে। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষ মেলায় কেনা-কাটা করতে আসে এবং এই দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা কাল ভৈরব মন্দিরে পূজা করতে আসে।
এই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও মেলার আনন্দ যাতে ব্যাগাত না ঘটে সেই দিকে নজরদারি করেছে জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদ এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। যাতে মেলাকে ঘিরে জোয়া খেলাসহ কোনরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় আজমিরীগঞ্জ থানার এক দল পুলিশ সব সময় টহল দিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর