,

পানি উন্নয়ন অফিসের সামনে অবৈধ দখলকৃত ৮০ শতক জমি উদ্ধার করেছে হবিগঞ্জ পৌরসভা

স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় ২০ বছর পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনের অবৈধ দখলকৃত ৮০ শতক জমি উদ্ধার করেছে হবিগঞ্জ পৌরসভা। হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের উদ্যোগে শহরের শ্মশানঘাটের সামনে নির্মিত হকার্স মার্কেটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্থানান্তরের মাধ্যমে শায়েস্তনগরে দীর্ঘদিনের দখলকৃত জমি অবমুক্ত করা হয়। গতকাল রবিবার পৌরসভা পরিচালিত দিনব্যাপী এক অভিযানে অবশিষ্ট অবৈধ দোকানসমূহ পুরোপুরি উচ্ছেদ করে জমি অবমুক্ত করা হয়। এর পূর্বে ৬ ডিসেম্বর হতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগন শ্মশানঘাটের নতুন মার্কেটে তাদের ব্যবসা স্থানান্তরের কাজ শুরু করেন। রবিবারে অবশিষ্ট দোকানসমূহ উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি অবমুক্ত হয়েছে ২০ বছরের দখলকৃত পৌরসভার জমি। দুপুরে উচ্ছেদকৃত পৌরসভার জমি পরিদর্শন করতে যান জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, কাউন্সিলর গৌতম কুমার রায়, টিপু আহমেদ ও শেখ সুমা জামানসহ জেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগ ও পৌরপ্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উদ্ধারকৃত জমি পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি দীর্ঘদিনের দখলকৃত পৌরসভার এই মূল্যবান জমি উদ্ধার করায় মেয়র আতাউর রহমান সেলিমসহ পৌরপরিষদকে ধন্যবাদ জানান। অপরদিকে বহু প্রতীক্ষিত দখলকৃত এই জমি উদ্ধারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের প্রতি পৌরপরিষদের পক্ষ হতে কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র আতউর রহমান সেলিম।
উল্লেখ্য, শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে অতীতে পৌরসভার একটি পুকুর ছিল। কালক্রমে অবৈধ দখল ও ভরাটের কারনে সেই পুকুরের কোন অস্তিত্ব এখন অবশিষ্ট নেই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীগণ এই পুকুরের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু এই মূল্যবান জমি পৌরসভার সম্পদ হওয়ার পরও পৌরসভা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। একদিকে পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এই জমি উদ্ধার ও পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পৌরসভার উপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে। পরিবেশ অধিদপ্তর পৌরসভাকে অর্থ জরিমানও করে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অন্যত্র পুনর্বাসন করে এই মূল্যবান জমি যথাযথভাবে পৌরসভার কাজে লাগানোও ছিল পৌরসভার জন্য চ্যালেঞ্জ। মেয়র আতাউর রহমানের নেতৃত্বে বর্তমান পৌরপরিষদ শ্মশানঘাট এলাকায় পৌরসভার নিজস্ব ভূমিতে হকার্স মার্কেট নির্মাণ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বরাদ্দ দেয়। সাথে সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনের প্রায় ৮০ শতক জমি স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে উদ্ধার করে। হকারদের পুনর্বাসণ এবং দীর্ঘদিনের দখলকৃত জমি উদ্ধারকে বর্তমান পরিষদের একটি বড় সফলতা হিসেবে দেখছেন হবিগঞ্জের সচেতন মহল।


     এই বিভাগের আরো খবর