,

টক ফলের ৭টি উপকারিতা

সময় ডেস্ক : মিষ্টি, উজ্জ্বল রঙের সাইট্রাস বা টক ফল শীতকালের রোদ বলতে পারেন। টকফল শুধু সুস্বাদু এবং মজার নয়, আপনার শরীরের জন্যও ভালো। এই শ্রেণির ফলের মধ্যে আছে লেবু, কমলা, জাম্বুরাসহ আরো অনেক ফল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করাসহ রয়েছে একগুচ্ছ স্বাস্থ্য সুবিধা। চলুন জেনে নিই।
১. ভিটামিনে ভরপুর এবং উদ্ভিদ যৌগ সমৃদ্ধ- টক ফল ভিটামিন সি-এর একটি চমৎকার উৎস। এই পুষ্টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আপনার ত্বক মসৃণ করে। মাত্র একটি মাঝারি কমলা খেলেই প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ‘সি’ পাবেন। টক ফলগুলোতে অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজও ভালো পরিমাণে রয়েছে। যা আমাদের শরীর সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়া ভিটামিন ‘বি’, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং তামাও আছে। টক ফল উদ্ভিদ যৌগ সমৃদ্ধ, তাই এতে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তো আছেই, আরো আছে ৬০-এর বেশি ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং অপরিহার্য তেল।
২. ফাইবারের ভালো উৎস- টক ফল ফাইবারের একটি ভালো উৎস। মাত্র এক কাপ কমলায় চার গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবারের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যার মধ্যে হজম ভালো হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করা। কমলালেবুতে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অন্যান্য ফল এবং শাকসবজির তুলনায় টক ফলে দ্রবণীয় থেকে অদ্রবণীয় ফাইবারের অনুপাত বেশি থাকে।
৩. টক ফলে ক্যালোরির পরিমাণ কম- ক্যালোরি কম খেতে চাইলে টকজাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। ক্যালোরি কম থাকলেও এতে থাকা পানি এবং ফাইবার আপনার চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
৪. কিডনি পাথরের ঝুঁকি কমায়- এক ধরনের কিডনি পাথর প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা কমের কারণে হতে পারে। অনেক ফল এবং শাকসবজি, বিশেষ করে সাইট্রাস ফল আপনার প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা বাড়াতে পারে। এটি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৫. ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে বা রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে- অনেক গবেষণায় টক ফলকে নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে । অন্যান্য গবেষণায় বলা হয়েছে, সাইট্রাস ফল খাদ্যনালি, পাকস্থলী, স্তন এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কাজ করতে পারে। এই ফলগুলোতে ফ্ল্যাভোনয়েডসহ প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করতে পারে। নতুন ক্যান্সার গঠনে বাধা দিয়ে এবং কার্সিনোজেনকে নিষ্ক্রিয় করে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে টক ফলগুলো।
৬. হার্টের স্বাস্থ্য- সাইট্রাস ফল খাওয়া হার্টের জন্য ভালো। জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এই ফলগুলো বেশি পরিমাণে খেয়েছেন তাদের হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের হার কম ছিল। সাইট্রাস ফলের অনেকগুলো ফ্ল্যাভোনয়েড, যার মধ্যে একটি নারিংজিন নামে পরিচিত। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হার্টকে ভালো রাখে।
৭. মস্তিষ্ককে দুর্বলতা থেকে রক্ষা করতে পারে- টক ফলের ফ্ল্যাভোনয়েডগুলো আলঝেইমার এবং পারকিনসনের মতো নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।


     এই বিভাগের আরো খবর