,

চৌকি গ্রামের চয়ন হত্যাকান্ডের ঘটনায় দৌলতপুর গ্রামে পুলিশের চিরুনী অভিযান

রাকিল হোসেন নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি ও বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামবাসীর মধ্যে একটি জল মহালকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চয়ন রায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামী গ্রেফতারে গতকাল রবিবার বিকেলে চিরুনী অভিযান পরিচালনা করেছে দুই থানার পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে অভিযুক্ত আসামীরা এলাকার নদী পথসহ বিভিন্ন পথ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চয়ন রায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে গত ১৮ আগষ্ট মার্কুলী ফাঁড়ির পুলিশ মইনুল ইসলাম ময়নাকে গ্রেফতার করে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গতকাল রোববার বিকেলে হবিগঞ্জের এডিশনাল এসপি সাজিদুর রহমান এর নেতৃত্বে এ সময় তার সাথে ছিলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ধর্মজিৎ সিনহা, নবীগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসরাম, বানিয়াচং থানার মার্কুলী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জিয়াউর রহমান সহ প্রায় অর্ধ শতাধিক পুলিশ দৌলতপুর গ্রামে আসামী গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু আসামীরা খবর পেয়ে পুলিশ পৌছার আগেই নৌকা যোগে পালিয়ে যায়। বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত পুলিশ দৌলতপুর গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে (২য় পৃষ্টায় দেখুন) তল্লাশি চালিয়েও কোন আসামীর সন্ধান পায়নি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ধর্মজিৎ সিনহা বলেন, পুলিশ পৌছার আগেই খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। তবে অভিযান অব্যাহত আছে। পালিয়েও শেষ রক্ষা হবেনা। উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জলমহালকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি গ্রামে এসে বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের লোকজন কর্তৃক হামলায় চালিয়ে চয়ন দাশের বুকে টেটার, গলায় পিকলের এবং মাথায় রামদা দিয়ে আঘাত আহত হন। ওইদিনই তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার দুুপুরে তাকে আইসিইউ’তে লাইফ সার্পোটে রাখা হয়। ৩ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত ১৫ই আগষ্ট শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে চয়ন দাশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।


     এই বিভাগের আরো খবর