,

মাধবপুরে মহাসড়কের পাশে সন্তান প্রসব করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী

স্টাফ রিপোর্টার : মাধবপুরে মহাসড়কের পাশে ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। গতকাল রোববার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মাধবপুর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে তিনি সন্তান প্রসব করেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার তেলিয়াপাড়ায় একটি সরকারি দাপ্তরিক কাজ শেষ করে ফেরার পথে অপরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান খবর পান নাম পরিচয়হীন এক মহিলা উপজেলার জগদিশপুর এলাকার মুক্তিযুদ্ধা চত্বরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। দ্রুত সেখানে ছুটে গিয়ে উৎসুক জনতার ভীড় দেখতে পান। ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে দেখেন মানসিক ভারসাম্যহীন প্রসূতি মহিলা নবজাতক এক ছেলে সন্তানের স্বাভাবিক জন্ম দিয়ে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। কেউ তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে না বরং ছবি উঠানো নিয়ে ব্যস্ত। এই অবস্থা দেখে তিনি গাড়িতে থাকা একটি কম্বল দিয়ে তাকে দ্রুত ঢেকে দেন এবং সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দেনব। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইশতিয়াক মামুন সাথে সাথে মিড ওয়াইফ রোকসানা বেগম, এসএসএন আম্বিয়া, আরএমও আবুল হাসনাতকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত হাজির হয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন ও দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন। বর্তমানে মা ও ছেলে উভয় সুস্থ আছে।
ওই সময় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে চুনারুঘাট যাওয়ার পথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডাঃ জাকিয়া পারভীন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল অফিসার রোকসানা আক্তার জাহান আলো ও সিএস ডাঃ মোঃ নুরুল হক উপস্থিত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় পরম মমতায় সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে মানুষিক ভারসাম্যহীন মা। এটাই হয়তো মায়ের চরিত্র। খবর পেয়ে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য হাজির হচ্ছেন।
ডা. ইসতিয়াক বলেন, এ সময়ের অনুভূতি মুখে বলে বোঝানোর মতো নয়। মা এবং সন্তান দুজনই ভালো আছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নারী নিজের নাম, পরিচয়, ঠিকানা কিছুই বলতে পারেন না।
সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া ছেলের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কি জানতে চাইলে ইউএনও মজনুর আহসান বলেন, অনেকেই দত্তক নিতে চাচ্ছেন কিন্তু আমরা এখনোই কাউকে দিতে চাচ্ছি না। ছেলেটির নিরাপত্তার জন্য দরকার হলে চাইল্ড হোমে দেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর