,

বাহুবল উপজেলা জুড়ে জুয়ারী চক্রের নেটওয়ার্ক, ১৩ স্পটে জমজমাট মাদক ও জুয়ার আসর

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলা জুড়ে গড়ে উঠেছে জুয়ারী চক্রের নেটওয়ার্ক। অন্তত ১৩টি স্পটে জমজমাট হয়ে উঠছে মাদক ও জুয়ার আসর। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের মরতুজ আলী, আদম আলী ও গোপেন্দ্র সিংহ নাথের নেতৃত্বে উমর মিয়ার বাড়ির কাছে বসছে জুয়ার আসর। মিরপুরের উত্তরে চপকাজিল তালতলায় নুনু মিয়া, ফুল মিয়ার নেতৃত্বে মনাফ মিয়ার ঘরে, হরিতলা বাসেরটিলা ও পূর্ব রসুলপুল গ্রামে মধু মিয়ার ঘরে, ভেড়াখাল গ্রামের আসদের নেতৃত্বে গোসাই বাজারের অদুরে রিষি বাড়ির পশ্চিমে করাঙ্গী নদীর তীরে, চকহায়দর গ্রামের তৈয়ব আলীর নেতৃত্বে কালা মিয়ার বাড়িতে, বাঘেরখাল আনোরুলের নেতৃত্বে, বাবনাকান্দি গ্রামে আবদাল মিয়ার নেতৃত্বে তার ফিসারীতে, রশিদপুরে পুকুরপাড় গ্রামের শামীমের নেতৃত্বে, মুছাই পাহাড়ে গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন আনারস বাগানে, পশ্চিম জয়পুর গ্রামে মারফত হাজী ও দাসপাড়া গ্রামে গফ্ফার ওরফে গোফাই মিয়ার বাড়িতে প্রতি রাতেই বসছে জুয়ার আসর। জুয়ারিরা মোবাইল সোর্সের মাধ্যমে পেয়ে যায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর আগমন বা বিপদ সংকেত। অভিযোগ রয়েছে, বাহুবলের কতিপয় ব্যক্তি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রন করছে। বিনিময়ে রাতারাতি বনে যাচ্ছে বট বক্ষ। জুয়ার আসর থেকে নিয়মিত বখরা আদায় করে থানার কনস্টেবল মইন, খুর্শেদ ও উসমান। ডিবি পুলিশের নামে চাদা নেয় রাসেল, আজহার ও আলমগীর নামের ৩ ব্যক্তি। এসব জুয়ার আসরে দিনে রাতে উড়ছে লাখ লাখ টাকা। আন্তজেলা জুয়াড়ি চক্রের সদস্যরা আসে মোটরসাইকেল, কার লাইটেস হাকিয়ে। জুয়ািড় চক্রের খপ্পড়ে পড়ে অনেকেই নিঃস হয়ে বাড়ি ফিরছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর