,

শাহজিবাজারে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রে ট্রান্সফরমারের বোসিং ফেটে আগুন লেগে বন্ধ হয়ে পড়া দুটি ইউনিট সহসা চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে জাতীয় গ্রিডে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রকৌশলীরা বুস্টার ট্রান্সফরমারসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড এর (পিজিসিবিএল) কোনো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তারা দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। শাহজিবাজার বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ধূর্জুটী প্রসাদ সেন জানান, গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ১৩২ কেভি থেকে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা ৮ ও ৯ নম্বরের একটি ট্রান্সফরমারের বুস্টার ফেটে বিকট শব্দে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিদ্যুত বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ব্রিগেডের ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এ কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে এ কেন্দ্রটি রক্ষা পেয়েছে। ঘটনার পর নিজস্ব প্রকৌশলীদের নিয়ে ট্রান্সফরমারের যন্ত্রপাতি খুলে দেখা গেছে একটি বোসিং পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ট্রান্সফরমারের তেল সঠিক রয়েছে কি না তা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ঢাকার টঙ্গী মেরামত কারখানায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরিত বুস্টারের আঘাতে অপর দুটি বুস্টার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করে এগুলো পরিবর্তন করে পুনরায় দুটি ইউনিট চালু করতে নিরলস কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ চালু হবে তা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এদিকে এ দুটি ইউনিট ১৩২ কেভি থেকে জাতীয় গ্রীড সঞ্চালন লাইনে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করা হত। ১৩২ কেভি ও গ্রীড পরিচালনার জন্য পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড এর (পিজিসিবিএল) এর নিজস্ব লোকজন রয়েছে। কিন্তু এ উৎপাদন কেন্দ্রে এ দুর্ঘটনার পর জাতীয় গ্রীডে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ১৩২ কেভি পরিচালনার জন্য (পিজিসিবিএল) নিজস্ব জনবল রয়েছে। শাহজিবাজার বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের প্রকৌশলীরা ১১ কেভি বিদ্যুত লাইন পরিচালনা ও বিদ্যুত উৎপাদনের কাজ করে থাকেন। জাতীয় গ্রিডে পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুত সরবরাহ (পিজিসিবিএল) এর লোকজন দায়িত্ব এগিয়ে চলছেন। এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল (পিজিসিবিএল) এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী সোহেল বলেন, এটি তাদের দায়িত্ব নয়। সম্পূর্ণ দায়িত্ব বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের।


     এই বিভাগের আরো খবর