,

তারেকের হাতে নামের তালিকা পদ হারাচ্ছেন অনেক সিনিয়র নেতা!

সময় ডেস্ক ॥ লন্ডন থেকে বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দলীয় অগ্রাধিকারমূলক যে বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন তার পুরোভাগে থাকছে-দলে শুদ্ধিকরণ। বেগম জিয়ার ‘সরলতার’ সুযোগ নিয়ে যেসব নেতা বিগত আন্দোলনে ‘দ্বিমুখী’, নিষ্ক্রিয় এবং রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেছেন তাদের একটি তালিকা রয়েছে তারেক রহমানের হাতে। এ তালিকায় বাদ নেইকেউই। আছেন সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জেলা ও বিভাগীয় শহরের নিষ্ক্রিয় নেতারাও। কোন নেতার মুখের দিকে তাকানো হবে না। দলকে নবধারায় সাজাতে বিএনপিতে শিগগিরই শুদ্ধি অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে কার কি ভূমিকা ছিলো-এই মাপকাঠিতে নির্দয়ভাবে অভিযান চালানো হবে। এর ভেতর দিয়ে কেন্দ্রীয় ও মহানগরসহ বিভিন্ন কমিটিতে নতুন মুখ যেমন আসবে, তেমনি কেউ কেউ পদ-পদবীও হারাবেন। এতে ডাকসাইটে অনেক নেতাই সাইড লাইনে ছিটকে পড়তে পারেন। দলীয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। দলের স্থানীয় এবং লন্ডনের সূত্রগুলো বলছে, সরকারবিরোধী আন্দোলন পরিচালনায় যেসব কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় এবং জেলা নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়েছিলো তাদের বেশিরভাগই ব্যর্থতা প্রদর্শন করেছেন। নেতাদের খুঁজে পায়নি কর্মীরা। ফলে এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিজেরাই বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন। এরপরও আন্দোলনের গতি ফেরাতে পারেননি। জানা গেছে, তারেক রহমানের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতাই ফোন এবং মেইল এ যোগাযোগ রাখছেন। নেতাদের কথা- দুই দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রের তুলনায় বহুগুণ সক্রিয় ছিল তৃণমূল। মাঠে দেখা যায়নি দায়িত্বশীল নেতাদের। ঢাকা মহানগরও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় শতভাগ। যে কারণে আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেনি। তাই নেতৃত্বের পরিবর্তন জরুরি। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, দল পুনর্গঠনের জন্য শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে হবে কেন্দ্র এবং ঢাকা মহানগর কমিটি থেকে। অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ত্যাগী এবং সাহসী নেতাদের। তারেক রহমানও মাঠ নেতাদের এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে, শুদ্ধি অভিযান হবে এবং যোগ্য ও সংগ্রামীরাই টিকে থাকবেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে পুত্র এবং নাতনিদের সঙ্গে থাকবেন ১৫ দিন। তারেক রহমানের সঙ্গে দল পুনর্গঠন, পরবর্তী আন্দোলন ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. ওসমান ফারুক, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা প্রমুখ লন্ডনে এসে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কা-ারিবিহীন বিএনপি: বিএনপি চেয়ারপারসন লন্ডনে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমেরিকায়। তাদের অনুপস্থিতিতে কাউকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ফলে আপাতত দেশে কা-ারিবিহীন অবস্থায় আছে বিএনপি। তবে দলীয় সূত্র বলছে, এই সময় দলের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে তা কে দেবেন সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। অবশ্য সার্বিক বিষয় মনিটরিং এর জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহানকে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন খালেদা জিয়া। এছাড়া দলের চেয়ারপারসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মির্জা ফখরুল চলতি মাসের শেষের দিকে দেশে ফিরছেন বলে জানা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর