,

সারাদেশে ভিজিডি চালের পরিবহণ ব্যয় নিয়ে ক্ষুব্ধ চেয়ারম্যানগন

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ সারাদেশে ভিজিডি চাল বিতরণে স্বচ্ছতা ও দূর্নীতিমুক্ত করতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগন নিজ পকেট থেকে পরিবহন ব্যয় শোধ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় প্রতিমাসে সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা স্বচ্ছতার খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিটি ইউ/পি চেয়ারম্যানকে। ইতিপূর্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারীর সার্কুলার অনুযায়ী ৪০% বস্তা বিক্রয় লব্দ অর্থ থেকে পরিবহন ব্যয় নির্বাহ করা হতো। বর্তমানে ৩০ কেজি চাল ভর্তি বস্তা বিতরন কেন্দ্র থেকে ভিজিডি দু:স্থ মহিলাদেরকে সরাসরি দিয়ে দেয়া হচ্ছে। জিও বা ডিও এর সাথে অগ্রীম পরিবহন ব্যয়ের অর্থ না পাওয়ায় ইউ/পি চেয়ারম্যানরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে বাধ্যহয়ে পকেট থেকে পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। অন্য দিকে খাদ্য বিভাগও ৩০ কেজি ছালার বস্তা সংগ্রহ ও রিপ্যাকিং ব্যয় নিয়ে চরম বিশৃংখল অবস্থায় ইউ/পি চেয়ারম্যানদেরকে বাধ্যতামুলক গোদাম রক্ষক সরবরাহ করতে হচ্ছে ভিজিডির চাউল ভর্তি বস্তা। এমনিতে দেশের ইউ/পি চেয়ারম্যানরা মাসিক ১৫শত ৭৫ টাকা সম্মানী ভাতা নিয়ে ক্ষুব্ধ, তার উপর ভিজিডি পরিবহন ব্যয় পকেট থেকে নির্বাহ করতে গিয়ে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে তৃর্ণমূলের খাটি এসব জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারী ১ হাজার ৩ শত ২৭ জন, নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬ শত ৯৬ জন মাধবপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ১ হাজার ৫ শত ৩৪ জন, চুনারুঘাট উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬ শত ১ জন, বাহুবল উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ১ হাজার ৬ শত ৪০ জন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ১ হাজার ৭ শত ৬৯ জন, বানিয়াচং উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ১ শত ৭ শত ৭৫ জন, লাখাই উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ১ হাজার ৭শত ৭৫ জন দু:স্থ মহিলা। ভিজিডি পরিবহন ব্যয় এর বিষয়ে উপজেলা বা জেলা মহিলা বিষয় কর্মকর্তা কেউই সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারছেন না। তবে হবিগঞ্জ জেলা ইউ/পি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও বানিয়াচং সদর দক্ষিণ পশ্চিম ইউ/পি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন জানান, জেলার ৭৭টি ইউ/পি চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইলে ভিজিডি চাল বিতরণের উদ্ভোদ সমস্যাদি ও অগ্রীম পরিবহন ব্যয় এবং গোদামে ৩০ কেজি ছালা প্যাকিং বিষয়ে ই-মেইলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে। ই-মেইলে পত্র প্রেরন ছাড়াও মোবাইলে কথা বলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতি: সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এবিএম জাকির হোসেন ও ডিডি আবুল কাসেম এর সাথে। তারা বাস্তব ও যুক্তি সংগত এবং অগ্রিম পরিবহন ব্যয় প্রদানে চেয়ারম্যানদের দাবীর বিষয়ে শীঘ্রই জরুরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর