,

নবীগঞ্জ হাসপাতাল এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ॥ আহত ১০

রাকিল হোসেন ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে দু’দল লোকের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এতে উভয় পক্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের হাসপাতাল ও প্রাইভেট চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কায়স্থগ্রামের রফাত মিযার পুত্রবধু হবিগঞ্জ উমেদনগরের কন্যা শেফা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। সিলেটস্থ ডাঃ রেজাউল করিমকে অনেক বার দেখানোর পরও সে সুস্থ হয়নি। প্রায় সময় শশুড়-শাশুড়ী, ননদ ও দেবরদের সাথে ঝগড়া, ঝাটি করে আসছে। একাধিকবার শেফার পিত্রালয় উমেদ নগর গ্রামের তার ভাই মৃত নুর মিয়ার ছেলে আলম মিয়াসহ পরিবারের লোকজনের কাছে বিচার প্রার্থী হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। উক্ত শেফা বেগমের অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ট শশুড় বাড়ির নিরীহ রফাত উল্লার পরিবার। সোমবার দিবাগত রাতে শেফা বেগম তার ননদ শাবানা বেগমকে বেদড়ক মারপিট করলে রাতেই তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সকালে প্রবাসী স্বামী মুহিত মিয়া তার স্ত্রী অসুস্থ শেফা বেগমকে হাসপাতাল নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে মুহিত মিয়ার ফুফুতো ভাই ও বোন জামাতা প্রবাসী আনমুনু গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে রাশেদ মিয়াসহ তারা ৩ ভাই হাসপাতালে যান। এদিকে শশুড়বাড়ির আত্মীয়তার সুত্রধরে রাজনগর গ্রামের জনৈক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হন। এরমধ্যে তুচ্ছ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আনমুনু ও রাজগনর গ্রামের লোকজন বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাসপাতাল এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উক্ত হামলায় প্রবাসী রাশেদ (২৬), তার সহোদর নাবিদ (২০), জায়েদ আহমদ (২৫) ও সোহেদ মিয়া (২২) সহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এসময় গোটা হাসপাতাল এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। হাসপাতালে আগত অন্যান্য রোগীদের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করতে দেখা গেছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। রির্পোট লেখা পর্যন্তএলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।


     এই বিভাগের আরো খবর