,

শাহজালাল রেস্টুরেন্টের বিরোধ নিয়ে আল্টিমেটামের ২ দিন পর ঘরের চাবি থানায় জমা ॥ ১৭ নভেম্বর উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিশ বোর্ড বসবে

জসীম তালুকদার ॥ নবীগঞ্জের ওসমানী সড়কের প্রাণী সম্পদ অফিসের সন্নিকটে অবস্থিত শাহজালাল হোটেল এন্ড রেস্টোরেন্টের ভূমির বিরোধ নিয়ে সুশীল সমাজ কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশ থেকে দেয়া ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার ২ দিন পর গতকাল বুধবার হোটেল মালিক পক্ষ নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জর কাছে ঘরের চাবি জমা দিয়েছেন। আগামী ১৭ নভেম্বর সালিশ বোর্ড বসার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ওসমানী সড়কের প্রাণী সম্পদ অফিসের সন্নিকটে অবস্থিত শাহজালাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক চরগাওঁ গ্রামের মরহুম শেখ মনর মিয়ার পরিবার ও আনমনু গ্রামের আব্দুস শহীদ সাহিদ মিয়ার মধ্যে বিরোধের উপজাত হয়। গত ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষও হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই দফা একাধিক দিন সালিশ বৈঠকে বসেন। সর্বশেষ সালিশ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু এম.পি। ওই বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, ইউ/পি চেয়ারম্যানবৃন্দ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই সালিশ বৈঠকে এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু এম.পি’কে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি সালিশ বোর্ড গঠন করা হয়। ২ নভেম্বর সালিশ বোর্ডের সিদ্ধান্ত দেওয়ার নির্ধারিত তারিখ ছিল। ধার্য তারিখের আগের রাতে সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত ঘোষনার তারিখ পিছিয়ে ৭ নভেম্বর করা হয়। হোটেলের মালিকপক্ষ সালিশগনের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে বর্ধিত তারিখ করার কারনে সালিশগণের কাছে তাদের সমূহ ক্ষতির কারন দেখিয়ে আইনী সহযোগীতার প্রস্তাব সহ তাদেরকে ক্ষমা করার বিনীত অনুরোধ জানান। পরে ওই দিন দিবাগত রাতেই হোটেল মালিক পক্ষ তাদের ঘরের চালে টিন লাগানোর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে। ওই সময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ সাহিদ মিয়া সহ উভয় পক্ষের ৩ জনকে আটক করে কোর্টে পাঠায়। এ ঘটনায় সুশীল সমাজের নামে নবীগঞ্জ নতুন বাজার মোড়ে সাহিদ মিয়াকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এক সমাবেশ হয়। ওই সমাবেশ থেকে দেয়া ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার ২ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার হোটেল মালিক পরিবারের পক্ষে আমেরীকা প্রবাসী শেখ সাইদুর মিয়া নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জের হাতে চাবি জমা দেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চাবি জমার বিষয়টি নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লিয়াকত আলী এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর